অর্থাভাব দেখা দিয়েছে ঠিকই, কিন্তু চুরি-ডাকাতি, রাহাজানিও তো কমেছে



প্রিয় পাঠক,

oddbangla.com এর তরফে আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ। কারণ আপনারা আপনাদের সমাজের ও দেশের প্রতি কর্তব্য পালন করেছেন। ভারতের মতো  একটা তৃতীয় বিশ্বের দেশে থেকেও আমরা সারা বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছি যে এত বড় দেশ হয়েও একমাত্র আমরাই পারি নিজের সর্বস্য সুযোগ সুবিধা ত্যাগ করে নিজেদের আরও মহৎ উদ্দেশ্যের প্রতি নিয়োযিত করতে। কিন্তু শিল্প প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন কোম্পানির মাথায় হাত। কারণ অর্থনৈতিক সমস্যা। ব্যবসা বন্ধ। তাহলে কর্মচারীদের বেতন দেওয়া হবে কোথা থেকে?  লকডাউনের এটা নেতিবাচক দিক ঠিকই। কিন্তু এর একটা ইতিবাচক দিকও আছে।

করোনা প্রতিরোধে সারাদেশে সাধারণ ছুটি, লকডাউন ও সচেতনতা প্রচারের কারণে অপরাধের মাত্রা কমে গেছে। থানায় থানায় মামলা দায়েরের সংখ্যাও কমে গেছে। রাজধানী কলকাতা, জেলা ও গ্রামেগঞ্জেও করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে জনসমাগম ঠেকাতে ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। রাস্তায় মানুষের পদচারণা কমে গেছে অনেক। এমন বাস্তবতায় কলকাতায় কমেছে চুরি-ডাকাতি-ছিনতাইয়ের মতো অপরাধ।

অতীতে এসব অপরাধের ঘটনায় মামলা হতো হাজার হাজার। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে পারিবারিক কলহ ও সামাজিক অপরাধের ঘটনা ঘটছে। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে করোনা ভাইরাস নিয়ে গুজব প্রচারের অভিযোগ রয়েছে। সারাদেশে গুজবের ঘটনায় ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের আওতায় শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

কিন্তু সর্বশেষ কথা যেটা না বললেই নয় সেটা হল সমাজের বুকে এই মহামারি কয়েকটা দিনের জন্য হলেও সাম্য এনে দিয়েছে। অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা যে আদতে মানুষকে নিরাপত্তা দিতে পারে না। সেটাই প্রমাণ হচ্ছে বারবার। 

ধন্যবাদ

Blogger দ্বারা পরিচালিত.