নিজেকে বাঁশ দিন ১লা বৈশাখে, সারা বছর কাটবে ভাল



Odd বাংলা ডেস্ক: বাঙালি বাঁশ নিয়ে বড়ই সংবেদনশীল। অন্যকে বাঁশ দেওয়ার বেলায় কিন্তু এই সংবেদনশীলতা হাওয়া হয়ে যায়। কিন্তু যদি নিজেকেই বাঁশ দেওয়া যায় তা হলে জীবনের অনেক জটিলতা এড়ানো যেত বলে জানায় প্রাচীন চৈনিক বাস্তুশাস্ত্র বা ফ‌েং শ্যুই। চিনা সভ্যতায় বাঁশগাছ শুভশক্তির প্রতীক। বাড়ির বাগানে বাঁশগাছ লাগানো চিনাদের ঐতিহ্যে অতি সাধারণ ব্যাপার। কিন্তু সেই সঙ্গে ফেং শ্যুই জানায়, বাড়ির ভিতরেও বাঁশগাছ লাগালে তা অশুভ শক্তিকে প্রতিহত করে, জীবনে স্থিতিশীলতা নিয়ে আসে। গৃহে একটি কাচের পাত্রে মাটি ও জল রেখে তাতে ছোট বাঁশগাছ পোঁতা হয়। গাছে লাল রিবন বেঁধে দেওয়ার বিধি রয়েছে। দেখা যেতে পারে বাঁশগাছের করিশ্মা।

• গৃহে বাঁশগাছ লাগালে তা এক প্রাকৃতিক ভারসাম্যকে হাতের কাছেই নিয়ে আসে। কারণ, চৈনিক বাস্তুসম্মত পঞ্চভূতকে এই গাছ একত্র করে। জলে এই গাছ রাখা হয়, মাটিতে এই গাছ পোঁতা হয়, গাছ নিজেই কাঠ, কাচের পাত্রে এই গাছকে রাখা হয়, কাচ চৈনিক বাস্তু মতে ধাতু। আর এর গায়ে যে লাল রিবন বাঁধা হয়, তা অগ্নির প্রতীক। এই পাঁচ এলিমেন্টের সহাবস্থান জীবনে স্থিতি ও ভারসাম্য নিয়ে আসে বলেই বিশ্বাস।

• কচি বাঁশগাছের সবুজ রং দৃষ্টিশক্তিকে সতেজ রাখে। স্নায়ুতন্ত্রকে স্নিগ্ধতা দেয়। চিকিৎসকদের মতে, সেরিব্রাল কর্টেক্স ও রেটিনার পক্ষে এই রং অতি উপকারী।

• মনে রাখা প্রয়োজন, বাঁশ গাছও গাছ। অন্য গাছের মতোই তা অক্সিজেন ত্যাগ করে। ঘরের বাতাস শুদ্ধ হয়।

• চিনা ঐতিহ্য মনে করে, ভিতরে ফাঁপা ও বাইরে শক্ত এই গাছ নেগেটিভ এনার্জিকে প্রতিহত করে। ৩৫-১২০ বছরে বাঁশগাছে ফুল আসে। এই ফুল সৌভাগ্যের প্রতীক।

• সর্বোপরি রয়েছে বাঁশগাছের সৌন্দর্য। ঋতু অনুযায়ী এর রং বদল ঘরের একঘেয়েমি দূর করে। বাসিন্দার মনকে সতেজ রাখে।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.