৫টি ‘অশালীন’ ভঙ্গি এবং তাদের ইতিহাস
Odd বাংলা ডেস্ক: ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণদেব বলতেন— ‘কথা ইশারা বটে’। কিন্তু তাকে উল্টে নিয়ে যদি বলা যায়, ইশারা বাক্যের বাপ, তাহলে কি আদৌ ভুল হবে? কত কথা তো ইশারাতই সম্পন্ন হয়ে যায়। তাকে কথায় নামিয়ে আনা মানে নেহাতই কেঁচে গণ্ডুষ করা। ফলে ইশারাই শ্রেয় হয়ে থাকে কথার থেকে। কিন্তু সব ইশারা সমান নয়। সু-এর পাশাপাশি কু-ইঙ্গিতও রয়েছে। না, না, কুপ্রস্তাব-টুপ্রস্তাবের প্রসঙ্গ টানা হচ্ছে না। কথা হচ্ছে কয়েকটা ভঙ্গিমা নিয়ে, যাদের সারা পৃথিবীই ‘অশালীন’ হিসেবে তকমা দেয়।
জেনে নেওয়া যাক সর্বজনমান্য কয়েকটি ‘অশালীন’ ভঙ্গীর ইতিবৃত্ত।
• মিডল ফিঙ্গার: বাকি আঙুল মুড়ে শুধু মধ্যমাটিকে উঁচু করে দেখানোর মানে জানেন না, এমন মানুষ উত্তর-বিশ্বায়ন পর্বে বিরল। এভাবে মধ্যমা দেখানোর মানে ইংরেজি f অক্ষরটিকে দেখানো। আর f যে কমনতম স্ল্যাংটিকে কনভে করে, তাও কারোর অজানা নয়। বিংশ শতকের পাঙ্ক রক সংগীত শিল্পীরাই জনপ্রিয় করেন এই ইশারাকে। উদ্দেশ্য— প্রতিষ্ঠানকে ঠোনা মারা।
• ফিগ হ্যান্ড: স্লাভিক দেশগুলোয় তর্জনি আর মধ্যমার মাঝখান দিয়ে বুড়ো আঙুল বের করে দেখানের মানে ডুমুর দেখানো। ডুমুর বা ফিগ স্লাভিক সভ্যতায় যৌনাঙ্গের প্রতীক। তুরস্কে অবশ্য এই ভঙ্গির মানে কোনও প্রস্তাব নাকচ করা।
• হর্ন: তর্জনি আর কনিষ্ঠা খাড়া করে শিং দেখানো নেহাতই অসভ্যতা। এর অর্থ— ‘ফিলিং হর্নি’। এখন ‘হর্নি’ টার্মটার পিছনে খেলা করছেন চির পরিচিত এক চরিত্র। তিনি ডেভিল। ডেভিল বা শয়তানের দু’টি শিং রয়েছে। আর হর্নি-ভাব জাগরণের পিছনে যে খেলা করে নির্যস শয়তানের প্ররোচনা, তা কে না জানে!
• ওকে: সাধারণত ‘অশালীন’ নয়। কিন্তু সময় বিশেষে ঝামেলা পাকাতেই পারে। ইউরোপে এর মানে গোল্লা দেখানো। কিন্তু দক্ষিণ আমেরিকা আর মধ্যপ্রাচ্যে এর দ্যোতনা সাংঘাতিক। কখনও কখনও এটি সমকামীদের অপমান করার জন্যও প্রদর্শিত হয়।
• মুনিং: সর্বাংশে ‘অশালীন’ ভঙ্গি। পেন্টু খুলে পশ্চাৎদেশ প্রদর্শনের মানে চূড়ান্ত হেয় করা। যতদূর জানা যায়, ৬৬ খ্রিস্টাব্দে রোমান সেনারা ইহুদি তীর্থযাত্রীদের ‘মুনিং’ করলে তুমুল দাঙ্গা হয়। আর প্রায় ১০০০ বছর পরে ১৯৬০-এর দশকে মার্কিন দেশ যখন ছাত্র-যুব আন্দোলনে কাঁপছে, তখন ‘মুনিং’ হয়ে দাঁড়ায় প্রতিবাদের অন্যতম অস্ত্র। আজ ফুটবল মাঠে মুনিং অত্যন্ত জনপ্রিয়।
Post a Comment