কলকাতার জিপিও, এই বাড়িটিতে এক সময় খুন হয়েছিলেন ১২৩ জন



Odd বাংলা ডেস্ক: বিবাদি বাগের এই বাড়িকে সবাই চেনে। কিন্তু ইতিহাস অজানা অনেকেরই। ইদানীং চিঠি-চাপাটির দিন নেই। এখন এই বাড়ির ব্যস্ততা অনেক কমে গিয়েছে। তবুও এর গুরুত্ব অপরিসীম। এই বাড়িটি তৈরি হয় চার বছর ধরে। শুরু হয় ১৮৬৪ সালে। শেষ হয় ১৮৬৮ সালে। নকশা করেছিলেন সেই সময়ে ব্রিটিশ ভারতের কনসাল্টিং আর্কিটেক্ট ওয়াল্টার বি গ্রেনভিল। ইতিহাস বলছে, এই ভবনটি তৈরি করতে সেই সময়ে খরচ হয়েছিল সাড়ে ৬ লাখ টাকা। আমরা যে ইতিহাসের কথা বলছি সেটা আরও আগের। 



জেনারেল পোস্ট অফিস তৈরি হওয়ার আগে এই জমিটা ছিল পুরনো ফোর্ট উইলিয়ামের অংশ। ১৭৫৬ সালে নবাব সিরাজউদদৌল্লা ওই ফোর্ট ভেঙে ফেলেন। আগে পুরনো কেল্লার অবস্থান নির্দেশ করে এখানে একটা পিতলের পাত বসানো থাকত। এখনও একটি ফলক আছে। সিরাজউদদৌল্লার সেনা ওই দুর্গ দখল করে ১৭৫৬ সালের ২০ জুন। বন্দি করা হয় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ১৪৬ জন সেনা ও কর্মীকে। ১২৩ জনের মৃত্যু হয় বলে জানা যায়। প্রাচীন কলকাতার সেই গণহত্যা ‘অন্ধকূপ হত্যা’ নামে খ্যাত অথবা কুখ্যাত।এখনকার জিপিও বিল্ডিং-এর ইতিহাস এমন রক্তাক্ত হলেও বর্তমান সাদা রং-এর বাড়িটি সত্যিই দ্রষ্টব্য। চোখ টানে বাড়িটির গঠনশৈলী। বিশাল গম্বুজ আর অবশ্যই বড় ঘড়িটি। তবে, ভিতরে যে সংগ্রহশালাটি আছে সেটি সত্যিই দ্রষ্টব্য। এক নজরে ধরা পরে ভারতীয় ডাক ব্যবস্থার ইতিহাস।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.