এই কয়েকটি লক্ষণ দেখলেই বুঝবেন আপনার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ঘাটতি আছে
Odd বাংলা ডেস্ক: শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হলে যে কোনও মরশুমি অসুখ বলুন বা যেকোনও রকমের অসুস্থতা চট করে কাবু করে ফেলতে পারে আপনাকে। আর এর জন্যই আপনার প্রয়োজন ভরপুর ইমিউনিটি পাওয়ার।তবে আপনি যদি এইসব লক্ষণগুলি দেখেন তাহলে আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন যে, আপনার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ঘাটতি রয়েছে-
প্রাপ্ত বয়স্কের শরীরে যে যে লক্ষণগুলি দেখা দেয়-
- এক বছরের মধ্যে চারবার বা তার বেশিবার কানে ইনফেকশন হওয়া।
- অ্যালার্জির সমস্যা না থাকা সত্ত্বেও এক বছরের মধ্যে দুই বা তার চেয়ে বেশিবার সাইনাসের সমস্যা হওয়া।
- প্রতি বছর অন্তত একবার নিউমোনিয়া হওয়া।
- দীর্ঘদিন ধরে ডায়রিয়ায় ভোগা এবং সেইসঙ্গে ওজন কমে যাওয়া।
- বার বার ভাইরাসের সংক্রমণ হওয়া, যেমন সর্দি-কাশি লেগেই থাকা সেইসঙ্গে হার্পিস হওয়া।
- যদি জীবাণু সংক্রমণ থেকে মুক্তির জন্য বার বার অ্যান্টিবায়োটিক ইনজেকশন প্রয়োগের প্রয়োজন পড়ে।
- বার বার চামড়ার গভীরে বা দেহে পুঁজ জমা।
- মুখে ঘা, ত্বক বা অন্যান্য অংশে ফাংগাল ইনফেকশন হলে।
- পরিবারের কোনও সদস্যের প্রাইমারী ইমিউনোডেফিসিয়েন্সীর ইতিহাস থাকলেও আপনার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কীভাবে বাড়াবেন-
১) প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ- প্রোটিন আমাদের শরীরে বিভিন্ন ঘাটতি পূরণ করে। বিভিন্ন রোগ বালাই মোকাবেলা করতে প্রোটিনের জুরি নেই। শরীরে শক্তি বাড়াতেও প্রোটিন বেশ কার্যকরী। ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঠেকাতে উন্নত মানের প্রোটিন গ্রহণ করা জরুরি। ডিম, মুরগীর মাংস, সামুদ্রিক মাছ, কচু শাক ও বিভিন্ন প্রকার ডাল দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় রাখুন, এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে।
২) ভিটামিন সি- ভিটামিন সি দেহের ইমিউন সিস্টেম বাড়াতে বেশ কার্যকরী। এটি মানব দে’হের জন্য অনেক জরুরি একটি মাইক্রো নিউট্রিয়েন্ট। যা আমাদের দাতেঁর গোঁড়া শক্ত করতে, ত্বক উজ্জ্বল করতে ও চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। ভিটামিন সি-তে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ত্বকের বলিরেখা দূর করতে ও বয়সের ছাপ লুকাতে সাহায্য করে। এছাড়াও বেশ কিছু ফলে আপনি খুব সহজেই ভিটামিন সি পেতে পারেন, যেমন- আমড়া, পেয়ারা, আমলকী, বাতাবী লেবু, কমলালেবু ইত্যাদি।
৩) জিঙ্ক- জিঙ্ক রক্তের শ্বেত রক্তকণিকার ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। শ্বেত রক্তকণিকার ক্ষমতা হ্রাস পেলে দেহের ইমিউন সিস্টেমে ব্যাঘাত ঘটে। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় কাঠ বাদাম, চীনাবাদাম, কাজু বাদাম, শিমের বীজ, দুধ, মাখন ও পনির রাখলে জিঙ্কের অভাব পূরণ হয়।
৪) ভিটামিন বি-১২- দ্রুত রোগ থেকে মুক্তি পেতে ভিটামিন বি-১২ বেশ কার্যকরি। এর পাশাপাশি এটি রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বৃদ্ধিতেও সহায়তা করে। দুগ্ধজাত খাদ্যে ও ডিমের কুসুমে প্রচুর পরিমাণে ভিতামিন বি-১২ রয়েছে।
৫) যোগাসন- ঘরে সামান্য ব্যায়াম, যোগাসন ও ধ্যানের মাধ্যমেও ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করা যায়। ব্যায়াম করতে না পারলে রোজ ৪০-৪৫ মিনিট হাঁটার চেষ্টা করুন। এতেও আপনার রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
Post a Comment