যমুনা ধারে জমায়েত অভিবাসী শ্রমিক, জ্বর-অনাহার নিয়ে কাটছে দিন!


Odd বাংলা ডেস্ক: করোনা ঠেকাতে সারা দেশে লকডাউন জারি করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মনে করা হয়েছিল লকডাউনে হয়তো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে। কিন্তু প্রথম দফা লকডাউনের মধ্যেও করোনা নিয়ন্ত্রণে না আসায় দ্বিতীয় দফার লকডাউন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। কিন্তু এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন ভিনরাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকরা। ওঁরা বাড়ি ফিরতে চান। 

সম্প্রতি মুম্বইয়ের বান্দ্রায় অভিবাসী শ্রমিক জমায়েত নিয়ে প্রবল হইচই শুরু হয়েছিল। এমনই এক পরিযায়ী শ্রমিক ষাট বছরের রমেশ কুমার একাকী যমুনা নদীর তীরে একটি গাছের তলায় একাকী বসেছিলেন। তাঁর খানিক পাশে বসে থাকা গোকুল মন্ডল বললেন, রমেশবাবু অত্যন্ত ক্ষুধার্ত, তিনি কথা বলার মতো অবস্থাতেও নেই। রমেশবাবুর মতো আরও কয়েক শো শ্রমিক কার্যত অসহায় অবস্থাতেই বসে রয়েছেন যমুনার তীরে কাডসিয়া ঘাটে। এই মুহূর্তে কর্মহীন ওইসব অভিবাসী শ্রমিকরা কীভাবে জীবন ধারণ করবেন এখন সেই চিন্তাতেই বিভোর। 

তাঁদের অধিকাংশই ভীত এই ভেবে যে, কোন বিষয়ে তারা বেশি নজর দেবে, নিজেদের মধ্যে দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়ে নাকি খাবার এবং আশ্রয়ে। লকডাউনের জেরে বন্ধ মন্দির, মসজিদ এবং গুরুদ্বার সব বন্ধ- সুতরাং অন্ন সংস্থানের কোনও উপায় নেই। এদের অনেকের শরীরেই জ্বর এবং সর্দি-কাশির লক্ষণ রয়েছে। এদের কি আদৌ করোনা পরীক্ষা হবে? কীভাবে হবে এর সমাধান। পরিস্থিতি যা, তাতে করোনার প্রয়োজন নেই, না খেতে পেয়েই মারা যাবেন অসংখ্য মানুষ। 
Blogger দ্বারা পরিচালিত.