নারদ কি কেবল কূটকচালের দেবতা? তার কিন্তু আছে আরও পরিচয়
Odd বাংলা ডেস্ক: পুরাণ, মহাকাব্য, এমনকী সংস্কৃত সাহিত্যের একটা বিরাট জায়গা জুড়ে অবস্থান করছেন এই বিষ্ণুভক্ত। কিন্তু গণস্মৃতিতে ‘নারদ’ কীভাবে যেন ঝগড়া বাধানোর আর কূটকচালের দেবতা হিসেবেই পরিগণিত হয়েছেন যুগে যুগে। অথচ আঠারোটি পুরাণ, ‘রামায়ণ’ ও ‘মহাভারত’ এবং তার পরে রচিত অগণিত কাব্যে দেবর্ষি নারদ এক সম্মানিত ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অবতীর্ণ। সেই বিন্দু থেকে দেখলে নারদের মহিমার অনেকটাই স্বল্পজ্ঞাত।
• নারদ প্রজাপতি ব্রহ্মা ও দেবী সরস্বতীর সন্তান।
• নারদ সনৎকুমারের কাছ থেকে ব্রহ্মবিদ্যা শিক্ষা করেন। ‘ছান্দোগ্যোপনিষদ’-এ এই শিক্ষার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ রয়েছে। পরে এই বিবরণটিই বেদান্ত দর্শনের মূল কথা হয়ে দাঁড়ায়।
• ‘মহাভারত’-এ দেবর্ষি নারদ পাণ্ডবদের বনবাসের সঙ্গী হয়েছিলেন। যুধিষ্ঠিরকে প্রকৃত ধর্মজ্ঞান তিনিই দান করেন।
• সনাতন ঐতিহ্যে যে ১২জন ব্যক্তিকে অমর বলে মনে করা হয়, নারদ তাঁদের মধ্যে অন্যতম।
• বিষ্ণুভক্ত নারদ স্বয়ং নারায়ণের কাছ থেকে ভক্তিসূত্র শিক্ষা করেন। পরবর্তী কালে এই দর্শন ‘নারদভক্তিসূত্র’ হিসেবে সংকলিত হয়। এই গ্রন্থ বৈষ্ণব ধর্মের মূল তত্ত্ব বিধৃত রয়েছে বলে মনে করা হয়।
• দেবর্ষি নারদ দেবলোক আর মানবলোকের মধ্যে সংযোগসেতু। তিনি মানবের যাবতীয় সংবাদ দেবলোকে পৌঁছন। এমন বর্ণনাই রয়েছে পুরাণাদি গ্রন্থে।
• বিভিন্ন দেবতা ও মানবের মধ্যে ঝগড়া বাধানোর যে বদনাম নারদের উপরে আরোপ করা হয়, তা সত্য নয়। তিনি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে কখনই বৈরিতার জন্ম দেননি। তর্ক ও বিসংবাদের মধ্যে দিয়ে যাতে সত্য উদঘাটিত হয়, তিনি সেই কাজই করেছেন। এই প্রক্রিয়া ভারতীয় সংস্কৃতিতে মান্যতাপ্রাপ্ত।
Post a Comment