ভারতের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারগুলো থেকে পালাচ্ছে মানুষ




Odd বাংলা ডেস্ক: কোয়ারেন্টাইন সেন্টারগুলো থেকে পালানোর চেষ্টা করছে করোনা আক্রান্ত সন্দেহে রাখা মানুষরা। তাদের অভিযোগ, এই সেন্টারগুলোতে রাখা হয়েছে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত মানুষ, দেওয়া হচ্ছে নিম্মমানের খাবার এবং এখানকার পরিবেশ অনেক নোংরা। এছাড়া করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে সবচেয়ে জরুরি বিষয় সামাজিক দূরত্বও বজায় রাখা যাচ্ছে না। করোনা পরীক্ষায় যাদের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে কিন্তু রোগের কোনো লক্ষণ পাওয়া যায়নি কিংবা যারা করোনা আক্রান্তদের সংস্পর্শে এসেছেন অথবা যারা বিদেশ থেকে এসেছেন তাদেরকে রাখা হচ্ছে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে। 

তবে গত মাসে দিল্লি, মুম্বাই ও আহমেদাবাদের মতো বড় শহরগুলো থেকে লকডাউন ভঙ্গ করে পরিযায়ী শ্রমিকদের নিজেদের রাজ্যে ফেরার চেষ্টা করেছিল লক্ষাধিক শ্রমিক। তাদেরকেও রাখা হয়েছে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে। ফলে এসব সেন্টারে এখন ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত লোক অবস্থান করছে। মুম্বাই মিউন্সিপ্যাল করপোরেশনের ডেপুটি মেয়র হেমাঙ্গি গোয়ারিকর বলেন, ‘বিপুল চাহিদা সামাল দিতে হচ্ছে আমাকে-লোকজনের ভালো বিছানা প্রয়োজন, পরিচ্ছন্ন টয়লেট...আমি তাদের এতোটুকুই বলতে পারি, দয়া করে মানিয়ে নিন, শান্ত হোন।’ পুলিশ জানিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের সুলতানপুর স্কুলে নোংরা পরিবেশের কারণে কোয়ারেন্টাইনে থাকা ২৫ তরুণের সঙ্গে মারামারি বেধে যায় সেখানকার কর্মচারিদের সঙ্গে। পরে তারা জানালা ভেঙ্গে পালিয়ে যায়। পরে তাদেরকে কাছের একটি গ্রাম থেকে আটক করে ফিরিয়ে আনা হয়। 

 কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ১৬ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইন সেন্টারগুলোতে ২৭টি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এর প্রধান কারণ ‘ব্যাপক হতাশা ও উদ্বেগ। মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে।’ অভিযোগ জানাচ্ছেন চিকিৎসকরাও। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের রায়বেরেলির একটি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের ভিডিও প্রকাশ করেছেন চিকিৎসকরা। এতে দেখা সেন্টারে বাসি খাবার, নোংরা টয়লেট ও বিছানার সংকটের চিত্র দেখা গেছে। পেশায় দর্জি ইশিতা দেবনাথ জানান, তাকে কোলকাতার একটি কমিউনিটি হলে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। সেখানে ৮০ জন নারীর জন্য মাত্র দুটি টয়লেট। ‘আমাদেরকে গবাদি পশুর মতো গাদাগাদি করে রাখা হয়েছে।’ তবে সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে তারা সম্ভাব্য সবকিছু করছেন এবং মানুষকে অবশ্যই ধৈর্য্য ধরতে হবে। সুলতানপুরে একটি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের দায়িত্বে থাকা জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ‘এখানে এমন মানুষ রয়েছে যারা জিনিসপত্র চুরির চেষ্টা করছে এবং কর্মীদের সঙ্গে বাজে আচরণ করছে।’
Blogger দ্বারা পরিচালিত.