আবার বুমেরাং, সকাল হতেই বাজারে মোমবাতি কেনার হিড়িক, এ যেন অসময়ের দীপাবলি


Odd বাংলা ডেস্ক: শুক্রবার সকালে ভিডিয়ো বার্তায় দেশবাসীর কাছে ওই আবেদন রাখেন তিনি। তার পর থেকেই মোমবাতির খোঁজ চোখে পড়েছে নানা জায়গায়। শুক্রবার সন্ধ্যায় ধূপধুনো দিতে মিনিট পাঁচেকের জন্য দোকান খুলেছিলেন এক মুদিখানার দোকানদার। আচমকা প্রচুর লোক এসে ভীড় জমান তাঁর দোকানে। সবার দাবি একটা মোমবাতি চাই।  কোথাও মোমবাতি পেতে বন্ধ দোকান খুলতে অনুরোধ, কোথাও আবার প্রদীপের খোঁজে লকডাউনের মধ্যেই কুমোরপাড়ায় খোঁজ! রবিবার রাতে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর ডাকে সাড়া দিয়ে আলো জ্বালতে এমন নানা ছবিই চোখে পড়ল জেলাজুড়ে। অনেকে অবশ্য এই আহ্বানকে গুরুত্ব দেননি। তাঁদের দাবি, করোনাভাইরাস সংক্রমণে এমন প্রতীকী কর্মসূচির চেয়ে বাস্তবোচিত কর্মসূচি এখন অনেক বেশি জরুরি। সবার অবশ্য চাহিদা মেটেনি। ব্যবসায়ীরা বলছেন, লকডাউনের জেরে অত্যাবশকীয় পণ্যের দোকান ছাড়া অন্য দোকান বন্ধ। তাছাড়া এখন দীপাবলির মরসুম না হওয়ায় চাহিদা অনুয়ায়ী মোমবাতি বা প্রদীপ মিলছেও না। তবে মোমবাতি-প্রদীপ না পেলেও অনেকেই নিজের মোবাইল ফোনের টর্চের উপর ভরসা রাখছেন। সিউড়ির এক কলেজ পড়ুয়া বলছেন, “মোমবতি প্রদীপ না পাই মোবাইলের চর্চ জ্বলবে। দূরত্ব বাজায় রেখে মানুষের একত্রিত হওয়াটাই বিষয়।”
Blogger দ্বারা পরিচালিত.