করোনা পরিস্থিতির মাঝেই বাড়ল ওষুধের দাম, ৬২% পর্যন্ত বৃদ্ধি



Odd বাংলা ডেস্ক: চিনে করোনার প্রকোপ বাড়ার পর থেকেই মনে করা হচ্ছিল যে বেড়ে যেতে পারে ভারতে ওষুধের দাম। কারণ ভারতে যে ওষুধগুলি তৈরি হয় তার কাঁচামাল আসে চিন থেকেই। এমতাবস্থায় ভারতের ওষুধ শিল্প এখন প্রশ্নের সম্মুখিন। অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি জাতীয় ওষুধের দাম এক ধাক্কায় অনেকটাই বেড়েছে। বিশেষত অ্যান্টিবায়োটিক অ্যাজিথ্রোমাইসিন, জ্বরের ওষুধ প্যারাসিটামল (Paracetamol), অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ড্রাগ বা ব্যথা কমানোর ওষুধ নিমেসুলাইডের দাম বেড়েছে প্রায় ৬০ শতাংশ থেকে ১৯০ শতাংশ। ব্যথা কমানোর ওষুধ নিমেসুলাইড নন-স্টেরয়েডাল ট্যাবলেট হিসেবেও কাজ করে। মাইগ্রেন, যে কোনও অস্ত্রোপচারের পরে ব্যথা কমানো, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের চিকিৎসায় এই ওষুধ কাজে লাগে। ভারতে এই ওষুধের চাহিদা রয়েছে। পাশাপাশি বিপুল চাহিদা রয়েছে জ্বরের ওষুধ প্যারাসিটামল ও অ্যান্টিবায়োটিক অ্যাজিথ্রোমাইসিনের। করোনার প্রকোপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের চাহিদাও প্রচুর। এর পাশাপাশি অ্যান্টিবায়োটিক অ্যাজিথ্রোমাইসিনের চাহিদাও বেড়ে যায়। কিন্তু এই সব ওষুধ তৈরির রাসায়নিক উপাদানের বেশিরভাগটাই আসে চিন থেকে। লকডাউনের পরে চিনের কারখানাগুলো খোলার পরে দেখা যায় কাঁচামালের দাম অনেকটাই বাড়িয়ে দিয়েছে তারা। জানুয়ারিতে যেখানে প্রতি কেজি নিমেসুলইডের দাম ছিল ৪৫০ টাকা, হালে সেই ওষুধেরই প্রতি কেজির দাম হয়েছে ১৩০০ টাকা। এক ধাক্কায় দাম বেড়েছে ১৮৯%। প্রতি কেজি অ্যাজিথ্রোমাইসিনের দাম বেড়েছে ৭৬৫০ টাকা থেকে ১০,৫০০ টাকা। অর্থাৎ প্রায় ৯৬ শতাংশ। সে তুলনায় প্যারাসিটামলের দামের বৃদ্ধি কিছুটা কম। প্রতি কেজি ২৬২ টাকা থেকে দাম বেড়ে হয়েছে ৪৫০ টাকা, অর্থাৎ বৃদ্ধি প্রায় ৬২%।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.