শুনুন মাটির গভীরে নরকবাসীদের আর্তনাদ


Odd বাংলা ডেস্ক: বেশ ক’বছর আগে ফিনল্যান্ডের একটি স্থানীয় পত্রিকা আমেনুসাসটিয়া(Ammenusastia)’য় প্রকাশিত আজব খবরে চমকে ওঠেন অনেকে! খবরটি এতটাই অদ্ভূত যে ফিনল্যান্ডের ভাষা অনুবাদ করে আন্তর্জাতিক বেশ কিছু সংবাদমাধ্যম সেটিকে প্রকাশও করে। খবরটি একদল বিজ্ঞানীর গবেষণা প্রসঙ্গে... অনেকের বিশ্বাস, নরক আসলে আমাদের পৃথিবীতেই রয়েছে। এবং তা মাটির গভীরে একেবারে কেন্দ্রস্থলে..। যদিও এই বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে বিজ্ঞানীদের। আবার অধিকাংশ মানুষ মনে করেন নরক আসলে আধ্যাত্মিক ব্যাপার, এটির অবস্থান পৃথিবী থেকে বহুদূরে অন্য এক জগতে! তবে নরক যেখানেই থাকুক, ফিনল্যান্ডের পত্রিকার প্রতিবেদন পড়ে অনেকের বিশ্বাস জোড়ালো হয় যে নরক এখানেই রয়েছে। পৃথিবীর গভীরে.. রাশিয়ার একদল গবেষক ৮০’এর দশকে সাইবেরিয়ায় বেশ কিছু গোপন পরীক্ষা চালায়। তারই একটি ছিল খনন করে ভূগর্ভের খনিজ জ্বালানীর সন্ধান। তবে এর আড়ালে যে উদ্দেশ্য কাজ করছিল তা হল পৃথিবীর অভ্যন্তরের অজানা দিক খতিয়ে দেখা। 




 বিজ্ঞানীরা ১৯৮৯ সালের ডিসেম্বরে সাইবেরিয়ার দুর্গম অঞ্চলে সেই খনন কাজ চালান। মাটির গভীরের রহস্য জানতে তারা প্রায় ১৪ হাজার মিটার খনন করেন। গবেষণার ফলাফল নিয়ে বিজ্ঞানী দলটির মধ্যে অনেকেই নানা চিন্তা ভাবনা করছিলেন। কিন্তু তাদের এমন অভিজ্ঞতা হবে তা কে জানতো? নরক সম্পর্কে ঘোর অবিশ্বাসী সেসব বিজ্ঞানীদের মধ্যেও সন্দেহ দেখা দেয় যে, পৃথিবীতেই কি তবে এর অবস্থান? বিজ্ঞানী দলটি দাবি করেন যে, ১৪ হাজার মিটার গভীরে খনন যন্ত্র প্রবেশ করানোর পর পৃথিবীর কেন্দ্রস্থল থেকে অদ্ভূত আওয়াজ তাদের কানে আসে। সেই শব্দ কোনো স্বাভাবিক শব্দ নয়, প্রকৃতির সৃষ্টিও নয় বলে তারা জোর দাবি জানান।


বিজ্ঞানীরা বলেন, খনন যন্ত্রটি ১৪ হাজার ফুট নীচে যেতেই এক বীভৎস আর্তনাদ তারা শুনতে পান। যেন অনেক মানুষ মাটির গভীরে প্রচণ্ড যন্ত্রনায় আর্তনাদ করছে। খুব খেয়াল করে শোনার পর তাদের মনে হল, পৃথিবীর কেন্দ্রস্থল থেকে অনেক মানুষ যেন আর্তস্বরে ক্ষমা প্রার্থণা করছে! শুধু তাই নয়, তারা পানির জন্য মাতমও করছে বলে বিজ্ঞানীদের মনে হয়। আর্তনাদ শুনে বিজ্ঞানীরা কি করবেন ভেবে পাচ্ছিলেন না। তবে এক বিজ্ঞানী বুদ্ধি করে সেই শব্দ যন্ত্রের মাধ্যমে রেকর্ড করে ফেলেন। অবশ্য খুব বেশিক্ষণ শব্দটি তারা শুনতে পাননি। তাদের দাবি, সেই শব্দ মোটে এক মিনিটের মতো স্থায়ী ছিল। যার ২৫ সেকেন্ড রেকর্ড করা সম্ভব হয়। আতঙ্ক থাকলেও কৌতুহলের কারণে আরও কিছুদূর তারা খনন কাজ চালান। কিন্তু বিজ্ঞানীরা লক্ষ্য করলেন কয়েক কিলোমিটার যেতেই খনন যন্ত্রটি অদ্ভূত আচরণ করছে। বিজ্ঞানীরা বুঝতে পারলেন, এর বেশি আর খনন করা সম্ভব নয়। তাদের মনে হল, পৃথিবীর কেন্দ্রস্থলে মাটি কিংবা পাথর নেই, একেবারে ফাঁকা! পরবর্তীতে বিজ্ঞানীদের সেই রেকর্ডটি পরীক্ষা করে অজানা কারণে চুপ করে যায় রুশ প্রশাসন। ফিনল্যান্ডের সেই পত্রিকা তো বটেই, অন্য কোনো গণমাধ্যমেও আর কোনো আপডেট পাওয়া যায়নি। দীর্ঘদিন পর বিষয়টি নিয়ে আবারও সরব হয়েছেন একদল গবেষক। তারা সেই স্থানটিতে আবারও অভিযান পরিচালনা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.