স্পটলাইট থেকে দূরে, স্বামীর খুব কাছের মানুষ ছিলেন স্ত্রী সুতপা, বিয়ের জন্য হিন্দু ধর্মও নিতে চেয়েছিলেন ইরফান


Odd বাংলা ডেস্ক: ৫৪ বছরেই জীবনাবসান প্রখ্যাত অভিনেতা ইরফান খানের। লক্ষ লক্ষ ভক্ত এবং অনুগামীদের কাঁদিয়ে এবং স্ত্রী ও দুই পুত্র বাবিল এবং অয়নকে একা করে দিয়ে চলে গেলেন ইরফান। ইরফানের জীবনে তাঁর একটি বিরাট অধ্যায় জুড়ে ছিলেন তাঁর স্ত্রী সুতপা শিকদার। বাঁচার তাগিদ খুঁজে পেতেন স্ত্রী সুতপার মধ্যে, আর এবার স্ত্রীকে ছেড়ে চিরদিনের জন্য না ফেরার দেশে চলে গেলেন ইরফান। 

স্পটলাইট থেকে বরাবরই নিজেকে দূরে রেখেছেন সুতপা। কিন্তু বলিউডের সঙ্গে তিনি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কারণ তিনি একজন চলচ্চিত্র সংলাপ লেখিকা। পরবর্তীকালে তিনি প্রযোজনার কাজও করেছেন। ইরফান অভিনীত মাদারি এবং করিব করিব সিঙ্গেল-তাঁরই প্রযোজিত। ইরফানকে ছবির কাজে সাহায্য করা তো বটেই, সেইসঙ্গে ২৫ বছরের বিবাহিত জীবনেও ইরফানের প্রাণের দোসর সুতপা। তাঁদের মধ্যেকার বোঝাপড়াটা ছিল এক অন্য পর্যায়ের। 

যুগলের প্রথম দেখা ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামায়। সেখানে দুজনেরই সিনেমা এবং শিল্পকলার প্রতি ভালবাসা তাঁদের নিজেদের মধ্যেকার ভালবাসাকে গড়ে তুলতে আরও বেশি করে সাহায্য করেছে। এরপর কেরিয়ারের শুরুর দিকে আসা উত্থান-পতনের ইরফানের সঙ্গে একাত্ম হয়েছিলেন ইরফান। শোনা যায় প্রথমে তাঁরা লিভ ইন সম্পর্কে ছিলেন আর তারপর ১৯৯৫ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি চার হাত এক হয় দু'জনের। সুতপাকে বিয়ে করার জন্য নাকি হিন্দু ধর্মান্তরিত হতেও রাজি ছিলেন ইরফান। টানা ২৫ বছর হাতে হাত রেখেই পথ চললেন তাঁরা। দীর্ঘ এই পথ চলার মধ্যে ব্যক্তিগত এবং পেশাগত জীবনের ঝড়ঝাপটাও দুজনে সামলেছেন একসঙ্গেই। 

তারপর তাঁদের জীবনটা বদলে গিয়েছিল যখন তাঁর শরীরে নিউরোএন্ডোক্রাইন টিউমার শনাক্ত করা গিয়েছিল। ইরফান চলে যান লন্ডনে চিকিৎসার জন্য। সেইসময়ও তাঁর হাত শক্ত করে ধরেছিলেন সুতপা। চিকিৎসার পর একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে তিনি ঈশ্বর এবং তাঁর স্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন যে, এই জীবনযুদ্ধে তাঁকে একজন যোদ্ধা বানিয়ে তোলার জন্য। এমন সহযোদ্ধাকে একা ফেলেই চলে গেলেন ইরফান।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.