অপার্থিব জীব, যা আপনার ঘুম কেড়ে নিতে পারে

এখানে হদিশ রইল তেমনই ৫টি অপার্থিব জীবের।
১. মেফিস্টোফিলিস— মহাকবি গ্যেটে বিরচিত ‘ফাউস্ট’ থেকে এর জয়যাত্রা শুরু, এমনটাই ভাবা হয়। কিন্তু মেফিস্টোফিলিসের উৎস অনেক বেশি পুরনো। বাইবেল-বর্ণিত শয়তানের এক রূপভেদ বলেও তাকে মনে করা হয়। এর কাজ খুবই রোমাঞ্চকর। সে কোনও মানুষের সঙ্গে এমন চুক্তিতে আবদ্ধ হতে চায়, যার দ্বারা সে মানুষটিকে পার্থিব সুখের ভাঁড়ার উজার করে দেবে। কিন্তু তার বদলে মানুষটির আত্মা তার কাছে বন্ধক রাখতে হবে। তার পাল্লায় পড়ে অসংখ্য মানুষের সর্বনাশ হয়েছে বলে জানায় কিংবদন্তি।
২. জিমিনিয়ার— পশ্চিমের শয়তানতত্ত্বের অন্যতম প্রধান গ্রন্থ ‘দ্য লেসার কি অফ সলোমন’-এ উল্লিখিত রয়েছে এদের কথা। পরে খ্রিস্টধর্মও এদের অস্তিত্বকে মেনে নেয়। কিংবদন্তি অনুযায়ী, জিমিনিয়ার ৭২ জন দানবের সমান শক্তিশালী। রাজা সলোমন নাকি তাকে পুষতেন। কিন্তু তাঁর পর থেকে তাকে আর কেউ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। গল্প অনেকটাই আমাদের বিক্রমাদিত্য আর বেতালের কাছাকাছি।
৩. সামায়েল— ইহুদি পুরাণে উল্লিখিত সামায়েল আসলে মৃত্যুদূত। ফলে এর সম্পর্কে ভয় থাকাটা স্বাভাবিক। কিন্তু সামায়েল ঠিক ততটা ‘ইভিল’ নয়, যতটা মনে করা হয়। ইহুদি পুরাণ ‘তালমুদ’ থেকে জানা যায়, তার রূপ অতি ভয়ঙ্কর। আর রেগে গেলে সে কী করে ফেলতে পারে, তার কোনও ঠিক নেই। 
৪. ওনোস্কেলি— পশ্চিমের শয়তানবাদীরা এদের কথা হামেশাই বলতেন। এরা দেখা দেয় সুন্দরী নারীর চেহারায়। তবে আসলে এদের চেহারা সাংঘাতিক। এরা পুরুষদের বশ করে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটাতে পারে। আর সেটাই নাকি এদের নেশা।
৫. পিশাচ— একান্তভাবে ভারতীয়। অতীব কুৎসিৎদর্শন এই অপ্রাকৃতরা এক ছায়াময় লোকের বাসিন্দা। এরা নাকি মৃতদেহ ভক্ষণ করে। এবং সেই সঙ্গে সর্বদাই আক্রমণাত্মক মানসিকতা পোষণ করে। তবে, ‘ভূতডামর তন্ত্র’ নামক গ্রন্থে বলা হয়েছে, এদের বশ করতে পারলে বহু প্রকার শক্তি আয়ত্ত করা যায়। কিন্তু একবার যদি পিশাচ সেই বন্ধন ছিন্ন করতে পারে, তবে সে প্রতিশোধ নেয়। অতি নৃশংস উপায়ে সে নাকি তাকে নিয়ন্ত্রণকারী তান্ত্রিককে হত্যা করে।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.