বুকে দম থাকলে ঘুরে আসুন এই অ্যামিউজমেন্ট পার্কে



Odd বাংলা ডেস্ক: পশ্চিমি হরর সিনেমায় লোকেশন হিসেবে অ্যামিউজমেন্ট পার্ক অসম্ভব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে গত বিশ বছরে। কার্যত এই থিমকে বিশেষ ভাবে ব্যবহার করেন পরিচলকরা হরর-এ ভিন্নতর মাত্রা আনার জন্য। অ্যামিউজমেন্ট পার্কের লোম খাড়া করে দেওয়া রাইডের সঙ্গে যদি ভূত বা জোম্বি যুক্ত হয়, তা হলে সোনায় সোহাগা। ‘জোম্বিল্যান্ড’ (২০০৯), ‘দ্য ফাইভ মেন ইউ মেট ইন হেভেন’ (২০০৪) ইত্যাদি সেই কথাই বলে। রোলার কোস্টারের উথাল-পাথাল যাত্রায় টানেলের অন্ধকারে কোন বিপদ ওৎ পেতে রয়েছে, তা অনুমান করা সহজ নয়। এই মূলধনকে সম্বল করেই সিনেমাওয়ালারা অ্যামিউজমেন্ট পার্ককে হরর ছবির আশ্রয়স্থল বানান। কিন্তু যদি জানা যায়, বাস্তবেই রয়েছে এমন কিছু অ্যামিউজমেন্ট পার্ক, যাদের বদনাম রয়েছে ভৌতিকতার কারণে, তা হলে কেমন লাগে? হরর বিষয়ক আন্তর্জাতিক ওয়েবসাইট ‘দ্য হন্টিস্ট’ এই ধরনের অ্যামিউজমেন্ট পার্কের এক বিস্তারিত তালিকা পেশ করেছে। এখানে রইল তার মধ্যে থেকেই বাছাই ৫টি।

• সিক্স ফ্ল্যাগস, নিউ অর্লিন্স, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র— সব থেকে ভৌতিক অ্যামিউজমেন্ট পার্ক হিসেবে পরিচিত। ২০০০ সাল নাগাদ এই পার্কটি চালু হয়। কিন্তু ২০০৫-এর ক্যাটরিনা ঘূর্ণিঝড়ে এটি ধ্বংস হয়ে যায়। কিন্তু এটাকে পুনরায় চালু করার জন্যে তেমন ফান্ড পাওয়া না যাওয়ায় এটি পরিত্যক্ত হয়ে যায়। রাতের দিকে এখানে শিশুদের আওয়াজ, রোলার কোস্টারের ক্যাঁচকোঁচ অথবা ভুতুড়ে বাজনা শোনা যায়, অনেকে বলেন।

• প্রিপায়াত অ্যামিউজমেন্ট পার্ক, ইউক্রেন— ১৯৮৬ সালের ১ মে পার্কটির উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল। চেরনোবিলের ভয়াবহ পারমাণবিক দুর্ঘটনার ফলে তা চিরকালের জন্য বাতিল হয়ে যায় এই পরিকল্পনা। তেজষ্ক্রিয়তার কারণে চেরনোবিল-সংলগ্ন এই শহরটিও পরিত্যক্ত হয়। ক্রমশ বদনাম রটে এই পার্কের। পরিত্যক্ত শহরের মৃত শিশুদের দীর্ঘশ্বাস নাকি ঘিরে থাকে এই কোনও দিনও চালু না হওয়া পার্কটিকে।

• ওকাপো ল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া— ১৯৯৯ সালে একটি রোলার কোস্টার থেকে পড়ে গিয়ে এক শিশুর মৃত্যুর পরে পার্কের ম্যানেজার নিখোঁজ হয়ে যান। ২০১১ সাল পর্যন্ত পড়ে ছিল এই অ্যামিউজমেন্ট পার্ক। এর ভৌতিক কুখ্যাতি ছিল সাংঘাতিক। পরে অবশ্য পার্কের ধ্বংসাবশেষ সরিয়ে নেওয়া হয়।

• নারা ড্রিমল্যান্ড, জাপান— মার্কিন মুলুকে ডিজনিল্যান্ড দেখে জনৈক জাপানি ব্যবসায়ী এই পার্কের পরিকল্পনা করেন কুনিজো মাৎসুও নামের সেই ব্যবসায়ী ডিজনির সঙ্গে দেখাও করেন। কিন্তু ওয়াল্ট ডিজনি শেষ পর্যন্ত সেই উদ্যোগে সামিল হননি। পরে ১৯৬১ সালে মাৎসুও নিজাই তৈরি করেন পার্কটি। ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত ভালই চলেছিল এটি। কিন্তু ওই বছর টোকিও ডিজনিল্যান্ড খুললে এই পার্ক তার জনপ্রিয়তা হারায়। ক্রমে তা জনহীন হয়ে পড়ে। ২০০৬ সালে পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে পার্কটি। তার পরে তাকে ঘিরে পল্লবিত হয় ভৌতিক কাহিনি।

• ডিজনি’জ রিভার কান্ট্রি, বে লেক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র— ডিজনি ওয়ার্ল্ডের প্রথম ওয়াটার পার্ক ৯/১১-র পরে বন্ধ হয়ে যায়। কারণ, সেই দুর্ঘটনা মার্কিন দেশের পর্যটন অর্থনীতিকে প্রায় ধ্বংস করে দিয়েছিল। পরে তা পাকাপাকি ভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়। একে ঘিরেও ছড়াতে থাকে ভৌতিক কাহিনি।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.