কেন্দ্রীয় দলের অভিযোগ মেনে নিয়ে ১১ দফা নির্দেশিকা জারি করল নবান্ন


Odd বাংলা ডেস্ক: করোনা মোকাবিলায় রাজ্যের অব্যবস্থা নিয়ে শুক্রবারই দুটি চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রের ইন্টার মিনিস্টেরিয়াল সেন্ট্রাল টিম (আইএমসিটি)। আর এরপরই নড়েচড়ে বসে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য প্রশাসন। করোনা মোকাবিলায় রাজ্যে যে পরিকাঠামগত খামতি রয়েছে তা কার্যত মেনে নিল নবান্ন। আর এরপর শুক্রবার রাতেই রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজ ও করোনা হাসপাতালগুলিকে ১১ দফা নির্দেশিকা পাঠালেন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা। দেখে নিন এক ঝলকে-

১) কোনও রোগীকেই কোনও মেডিকেল কলেজ বা হাসপাতাল থেকে চিকিৎসকা না করিয়ে ফেরানো যাবে না।

২) কাউকে অন্যত্র স্থানান্তরিত করতে হলে তাঁকে অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা প্রদান করতে হবে। 

৩) সমস্ত প্রোটোকল মেনে নিয়ে মৃতদেহকে অবিলম্বে ওয়ার্ড থেকে সরিয়ে ফেলতে হবে। 

৪) প্রোটোকল মেনে ওপিডি এবং এমার্জেন্সির সমস্ত ডাক্তারদের প্রোটেকটিভ গিয়ার পরতে হবে।

৫) হাসপাতালের যেসকল জায়গাগুলি ডাক্তাররা ব্যবহার করছেন, সেগুলিকে প্রতিদিন নিয়ম করে স্যানিটাইজ করতে হবে। 

৬) যেসমস্ত জায়গায় ডাক্তাররা বসেন এবং পোশাক বদলান সেসমস্ত স্থানেও সর্বোচ্চ মাত্রায় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা এবং স্যানিটাইজেশন মেনে চলতে হবে। 

৭) স্যাম্পেল কালেকশন ও রিপোর্টের মাঝখানে সর্বাপেক্ষা ১২ ঘন্টা সময় নেওয়া যাবে। 

৮) মেডিক্যাল কেলজগুলির প্রিন্সিপালরা একজন করে মানব সম্পদ আধিকারিক নিয়োগ করতে পারবেন যারা কোভিড ১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে উপযুক্ত স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞা নিয়োগ করবে।

৯) টালিগঞ্জের এম আর বাঙ্গুরে পরিকাঠামোগত বিশেষ সুযোগ-সুবিধার ব্যাবস্থা। 

১০) স্বাস্থ্য ভবনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা প্রতিদিন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালগুলি পরিদর্শনে যাবেন। 

১১) হাসপাতালগুলিতে সাধারণ মানুষের জন্য অব্যবস্থার ক্ষেত্রের সরকার 'জিরো টলারেন্স নীতি' প্রয়োগ করবে।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.