ভারতে কি তেলের দাম ০ (শূন্য) টাকা হবে?



Odd বাংলা ডেস্ক: আন্তর্জাতিক বাজারে জলের চেয়েও সস্তা তেল। গতকাল, মঙ্গলবার নেগেটিভ প্রাইসিংও হয়েছে। অর্থাৎ যতটা তেল কেনা হল, একই পরিমাণ তেল ফ্রি-ও। লকডাউনের মধ্যেই তেলের দাম যেন শাপে বর। তেলের দামে ধস নামায় কিছুটা অক্সিজেন পেতে পারে মোদি সরকার। খুচরো ক্রেতাদের ভার কমবে কি? সেটাও নির্ভর করছে মোদি সরকারেরই উপর। ধরা যাক, আপনি পেট্রোল পাম্পে তেল কিনতে গেলেন। অনেক কম দামে তেল তো মিললই, সঙ্গে মিলল উপহার। যতটা তেল কিনলেন, ঠিক ততটাই ফ্রি। সেটা আপনি যেদিন ইচ্ছে নিতে পারেন। ফ্রি কেন? এই যে আপনি, এই দুর্দিনেও তেলটা নিলেন। আন্তর্জাতিক তেলের বাজারে এখন এমনই দুর্দিন। আন্তর্জাতিক তেলের বাজারে চালু অ্যাডভান্স প্রাইসিং৷ 

অর্থাৎ ডলার আগাম দিয়ে পরের মাসের অর্ডার বুক করতে হয়৷ মঙ্গলবার মার্কিন মুলুকে নেগেটিভ প্রাইসিং হয়েছে৷ অর্থাৎ ক্রেতা ধরে রাখতে তেল ফ্রি দেয় সংস্থাগুলো ৷ পরে তেলের দাম কিছুটা চড়তে শুরু করে ৷ বুধবারও দাম ব্যারেলে ৮ ডলারের ওপরে ওঠেনি ৷ ব্রেন্ট ক্রড অয়েলের দাম কমলেও ততটা কমেনি৷ ভারত ৯৫ শতাংশই ব্রেন্ট ক্রুড আমদানি করে৷ আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম তলানিতে পৌঁছনোর পরেই ঘুরেফিরে আসছে অবধারিত সেই প্রশ্ন। কেন ভারতেও সঙ্গতি রেখে দাম কমানো হবে না? বিশেষত এই লকডাউনের বাজারে, যখন মানুষের দুর্ভোগ চরমে। ট্যুইটে রাহুল গান্ধির প্রশ্ন, বিশ্ববাজারে তেলের দামে ধস। সরকার তো অনেক কম দামে তেল কিনছে ? খুচরো বাজারে দাম কখন কমবে?
Blogger দ্বারা পরিচালিত.