ইয়ানোমামি উপজাতি: মরা পুড়িয়ে ছাই খায় যারা



Odd বাংলা ডেস্ক: বিশ্বের নানা কোণে এমন সব উপজাতীরা বসবাস করে যারা আজও বেঁচে থাকতে মানুষের মাংস খেয়ে থাকে। আজ যাদের গল্প আপনাদের শোনাবো তাদের বাস অ্যামাজনের বৃষ্টি অরণ্য়ে, পরিচিত ইয়ানোমামি উপজাতী নামে। এরা বিখ্য়াত এদের আজব সব আচারানুষ্ঠান এবং জীবনযাত্রার জন্য়। শুনলে অবাক হয়ে যাবেন, এই উপজাতীর সদস্য়রা আজও তাদের গোষ্টীর কেউ মারা গেলে তাকে পুড়িয়ে তার ছাই খেয়ে থাকে। এমনটা তারা কেন করে জানেন? তাদের বিশ্বাস মৃত্য়ুর পর মৃত ব্য়াক্তির আত্মাকে বাঁচাতে এমনটা করা জরুরি। শুধু তাই নয়, আজও সভ্য়তার আলো এদের ছোঁয়নি। এরা এই ২১ শতকেও উলঙ্গ হয়ে ঘুরে বেরায়। আর থাকে উন্মুক্ত তাবুতে। অপেক্ষা কিসের, চলুন একবার নজর ফেরান যাক এই উপজাতীর আরও সব আজব কাণ্ড কারখানার দিকে। এরা কারা? অ্যামাজনের বৃষ্টি অরণ্য়ের প্রায় ২০০-২৫০টি গ্রামে বসবাস করে এই ইয়ানোমামি ট্রাইবরা। এরা আজও কারও মৃত্য়ু হলে তার ছাই দিয়ে তৈরি সুপ খেয়ে থাকে। 

এটা ভাববেন না যে কেবল মাত্র পরিবারের কেউ মারা গেলেই এরা এমনটা করে। এদের গোষ্টীর যে কেউ মারা গেলেই সবাই সমবেত হয়ে তার ছাই দিয়ে বানানো এই বিশেয পানীয়টি পান করে। এদের বিশ্বাস: এরা মৃত্য়ুতে বিশ্বাস করে না। বরং এদের ধারণা, এদের বিরোধী শ্য়ামোন ট্রাইবের সদস্য়রা কোনও পিশাচকে পাঠালে তবেই ইয়ানোমামি সম্প্রদায়ের কারও মৃত্য়ু ঘটে। তাই তো এরা মৃতদেহকে পুড়িয়ে ফেলে। এরা ছাই খায় কেন? আজব একটা কারণে এমনটা করে থাকেন এরা। এদের বিশ্বাস, কারও মৃত্য়ুর পর যদি তার ছাই খাওয়া হয়, তাহলে মৃতের আত্মা বেঁচে থাকে এবং সেই আত্মা পরবর্তি সময় আবার জন্ম নেয়। কীভাবে বানানো হয় ছাইয়ের সুপ: মৃতদেহকে পাতায় মুড়ে প্রায় ৩০-৪৫ দিন জঙ্গলে ফেলে রাখা হয়। তারপর পঁচে যাওয়া সেই মৃতদেহ থেকে সব হাড় সংগ্রহ করে পোড়ান হয়। সেই হাড় পুড়ে গিয়ে যে ছাই পাওয়া যায় তা পচা কলা দিয়ে তৈরি সুপের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া হয়। পুরো গোষ্টি সেই সুপ খায়! ইয়ানোমামি উপজাতির সকল সদস্য়কে সেই সুপ খেতে হয়। এখানেই শেষ নয়, নিজ গোষ্টীর সবার এই সুপ খাওয়া হয়ে গেলে বাকিটা অন্য় গোষ্টীর সদস্য়দের দিয়ে দেওয়া হয়। আর এই সুপ খাওয়া হয় একসঙ্গে বসে।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.