কোনও পুরুষ নয়, বয়েজ লকার রুম নামে ধর্ষণ গ্রুপ চালাতো পুরুষের ছদ্মবেশে একটি মেয়ে

boys-locker-rooms-1


Odd বাংলা ডেস্ক: সহপাঠিনীদের গণধর্ষন থেকে শুরু করে তাদের অশ্লীল ছবি পাঠিয়ে তা নিয়ে এই গ্রুপ চ্যাট করতো অভিযুক্ত ছাত্রেরা। কিন্তু এবার এই ঘটনায় উঠে এল এক চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। ঘটনার তদন্তে নেমে ইতিমধ্যেই এক নতুন মোড়ও খুঁজে পাওয়া গেছে বলে জানা যাচ্ছে। দিল্লি পুলিশের সাইবার সেল জানাচ্ছে এই ঘটনার পিছনে রয়েছে এক কিশোরীর হাত। বর্তমানে দিল্লি পুলিশ জানাচ্ছে গোটা ঘটনার পুনর্নির্মাণ করতে গিয়ে তারা দেখতে পান ইনস্টাগ্রাম গ্রুপের কথোপকথনে ‘গণ-ধর্ষণ' সম্পর্কে মন্তব্যটি নাকি মোটেই ইনস্টাগ্রাম চ্যাটরুমে করা হয়নি। পুলিশের মতে, ছাত্রদের প্রতিক্রিয়া জানতেই একটি ছেলের নামে ফেক আইডি খুলে ওই মন্তব্য করেছেন এক কিশোরী। সূত্রের খবর, যে মেয়েটি ওই কাজ করেছে সে আসলে ওই ‘বয়েস লকার রুমের' সদস্যই নয়। দিল্লি পুলিশের সাইবার সেলর মতে, জনৈক ওই কিশোরী এক অপ্রাপ্ত বয়স্ক কিশোরের পরিচয়ে একটি জাল স্ন্যাপচ্যাট প্রোফাইল খোলে। সেখানেই আর একটি অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোরের সঙ্গে নিজেকেই যৌন হেনস্থা করা নিয়ে আলোচনা করে সে। ফেক প্রোফাইলে ওই কিশোরী নিজের নাম রেখেছিল সিদ্ধার্থ। সেখানেই সে নিজের সম্পর্কে একটি আপত্তিকর পোস্ট করে বলে অভিযোগ। তারপর অন্যান্য সদস্যরাও এই ব্যাপারে নিজেদের মতামত দিতে থাকে। পুলিশ সূত্রে খবর, ছেলেদের চারিত্রিক দৃঢ়তা যাচাই করার জন্য ওই মেয়েটি নাকি ছেলে সেজে ওই মন্তব্য করেছে। তাই সিদ্ধার্থ সেজে নিজেকে নিয়েই ওই অশ্লীল মন্তব্য করে কিশোরীটি। কিন্তু যে ছেলেটিকে সে মেসেজ গুলি পাঠায় সে তার প্রস্তাবে প্রাথমিক ভাবে সাড়া দেয়নি বলে জানা যাচ্ছে। ফলত চ্যাট বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে বয়েজ লকার রুম ইনস্টাগ্রাম স্ক্রিনশটের সঙ্গে কোনোভাবে এই স্ন্যাপচ্যাট আলোচনাও যুক্ত হয়ে যায় ও তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরতে থাকে। ফেক আইডি তৈরি করা ঠিক না হলেও মেয়েটির কওনও অসৎ উদ্দেশ্য না থাকায় ওই মেয়েটি বা ছেলেটির বিরুদ্ধে কোনও মামলা করা হচ্ছে না বলে জানিয়েছে পুলিশ।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.