১০০ কিমি পথ পায়ে হাঁটার পর সন্তান জন্ম দিলেন পরিযায়ী শ্রমিকের স্ত্রী, প্রাণ হারাল সদ্যজাত!


Odd বাংলা ডেস্ক: পঞ্জাবের লুধিয়ানা থেকে ১০০ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে আসা এক অভিবাসী শ্রমিকের গর্ভবতী স্ত্রী আম্বালায় পৌঁছানোর পর একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন। আর জন্মের পরই মৃত্যু হল শিশুটির।

বিন্দিয়া এবং তাঁর স্বামী যতীন রাম, যাঁদের দুজনেরই বয়স বিশের কোটায়। তাঁরা গত সপ্তাহে লুধিয়ানা থেকে বিহারে নিজেদের গ্রামের উদ্দেশে যাত্রা কররতে শুরু করেছিল। বুধবার ওই দম্পতি আম্বালা পৌঁছতে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। কিন্তু জন্মের সঙ্গে সঙ্গেই মারা যায় শিশুটি। সদ্য সন্তান হারানো বাবা-মা তাঁদের মৃত সন্তানের শেষকৃত্য করেছিল আম্বালা শহরেই। প্রসঙ্গত, মাত্র ২ বছর আগে বিন্দিয়া আর যতীন রামের বিয়ে হয়েছিল, আর তারপর এটিই ছিল তাঁদের প্রথম সন্তান। 

গত বছর বিন্দিয়া তাঁর স্বামীর কাছে লুধিয়ানাতে চলে আসেন। স্বামী যতীন সেখানে একটি কারখানায় শ্রমিকের কাজ করে। করোনাভাইরাসের জেরে সারা দেশজুড়ে লকডাউনের কারণে বহু অভিবাসী শ্রমিক কেউ পায়ে হেঁটে, কেউ ট্রাকে, পরবর্তীকালে অনেকে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে করে নিজ নিজ রাজ্যে ফেরার চেষ্টা করেছিলেন।  

যতীন রাম জানিয়েছেন, তিনি ও তাঁর ন'মাসের গর্ভবতী স্ত্রী পায়ে হেঁটে বাড়ি ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তিনি জানান যে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনের রেজিস্ট্রেশন পাননি তাঁরা। আর ভবিষ্যতের জন্য পয়সা বাঁচাতেই তাঁরা পায়ে হাঁটার সিদ্ধান্ত নেন। তার মধ্যে লকডাউনে পুষ্টিকর খাবার পাননি বিন্দিয়া, যা একজন গর্ভবতী মহিলার খাওয়া উচিত। আর সেইকারণেই খুব দুর্বল ছিলেন। লকডাউনে কাজ চলে যাওয়ায় পর্যাপ্ত অর্থের অভাবে দুবেলা খাবার জোটেনি তাঁর। আর তার প্রতিদান দিতে হল নিস্পাপ ফুলের মতো একটি প্রাণকে। 
Blogger দ্বারা পরিচালিত.