নাম আকবর খান, দুবেলা করেন শিবের পুজো


Odd বাংলা ডেস্ক: জন্মগত ধর্মের বিচারে তিনি মুসলমান। কিন্তু ধর্মকে এক বৃহত্তর দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে শিখেছেন তিনি। এমন এক দৃ্ষ্টিকোণ, যেখানে ধর্মে ধর্মে বিভেদ মুছে যায়। এক হিন্দু দেবতা তাই অনায়াসে আরাধ্য হয়ে উঠতে পারেন তাঁর কাছে। সেই দেবতার প্রতি সেই মুসলমান যুবকের ভক্তি এতটাই যে, তাঁর এক বিরাট মন্দিরই তৈরি করে ফেলেছেন তিনি। রাজস্থানের টোঙ্ক জেলার বাসিন্দা আকবর খানের বয়স এখন ৩৯ বছর। ছোটবেলায় যখনই জীবনে কোনও সংকটের সম্মুখীন হতেন আকবর, মসজিদে গিয়ে প্রার্থনার পাশাপাশি তিনি যেতেন শিবের মন্দিরেও। ‘‘বরাবরই দেখে এসেছি, একমনে শিব ঠাকুরকে ডাকলে জীবনের যে কোনও সমস্যারই সমাধান হয়ে যায়’’ বলছেন আকবর। দিনে দিনে শিবের প্রতি আকবরের ভক্তি এতই বাড়তে থাকে যে শেষ পর্যন্ত শিবের একটি মন্দির নির্মাণ করবেন বলে স্থির করেন তিনি। তারপর একসময় উপষুক্ত সময় বুঝে হাত দেন সেই মন্দির তৈরির কাজে।

রাজস্থানের ওম বিহার কলোনি অঞ্চলে সাধারণ মানুষের জন্য উন্মোচিত হয়েছে আকবরের তৈরি করা সেই মন্দিরের দ্বার। ভূতেশ্বর মহাদেব নামে পরিচিত সেই মন্দিরটি গড়ে উঠেছে ১০০ বর্গ মিটার এলাকা জুড়ে। শিবের নানা রূপের নানা আকৃতির মূর্তি ঠাঁই পেয়েছে সেই মন্দিরে। মূল মূর্তিটির উচ্চতা প্রায় ১০০ ফুট। নিজের সম্প্রদায়ের মানুষদের তরফে কখনও বাধা পাননি আকবর তাঁর মন্দির তৈরির কাজে? আকবর বলছেন, ‘একেবারেই না।’ কিন্তু তাঁর নিজের মনে কখনও বাসা বাঁধেনি কোনও অস্বস্তি বা দ্বিধা? মৃদু হেসে আকবর বলছেন, ‘শিব নামে ডাকি অথবা আল্লাহ— সবই তো এক’। আকবরের এই সরল বিশ্বাসের কথা শুনে মনে হয়, সাম্প্রদায়িক হিংসায় দীর্ণ এই পৃথিবীর বোধহয় অনেক কিছুই শেখার আছে আকবরের কাছে।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.