মহিলা নাগা সন্ন্যাসীদের সম্পর্কে ১০টি চাঞ্চল্যকর তথ্য
Odd বাংলা ডেস্ক: নাগা সন্ন্যাসী বলতেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে একদল জটাজূটধারী গায়ে ভস্মমাখা এবং প্রায়শই সম্পূর্ণ নগ্ন পুরুষের দল। কুম্ভমেলায় এঁদের দেখা মেলে খুব সহজেই। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেন না যে, নাগা সন্ন্যাসী শুধু পুরুষরা নন, মহিলারাও হয়ে থাকেন। এখানে রইল সেই মহিলা নাগা সন্ন্যাসীদের সম্পর্কে ১০টি চমকে দেওয়ার মতো তথ্য—
১. নাগা সন্ন্যাসী হয়ে ওঠার আগে একজন মহিলাকে ৬ থেকে ১২ বছর ধরে ব্রহ্মচর্যের যাবতীয় নিয়ম মেনে চলতে হয়। তাতে যদি সফল হন, কেবল তখনই গুরুর নির্দেশে সন্ন্যাস ধর্মে দীক্ষিত হতে পারেন তিনি।
২. গুরু একজন মহিলাকে নাগা সন্ন্যাসে দীক্ষা দেওয়ার পূর্বে তাঁর অতীত জীবন, পরিবার ও আত্মীয়-পরিজন সম্পর্কে ভাল করে খোঁজখবর নিয়ে নেন।
৩. নাগা সন্ন্যাসিনী হয়ে ওঠবার আগে একজন মহিলাকে তাঁর নিজের পিণ্ডদান ও তর্পণ সেরে নিতে হয়।
৪. সন্ন্যাস গ্রহণের আগে মহিলাদের মাথা নেড়া করতে হয়, এবং গঙ্গা স্নান সারতে হয়।
৫. সন্ন্যাসী-বৃত্তে নাগা সন্ন্যাসিনীদের সন্ন্যাসীদের সমান মর্যাদা দেওয়া হয়। এবং কুম্ভমেলায় পূণ্যস্নানে পুরুষ সন্ন্যাসীদের সমান সুযোগ পেয়ে থাকেন সন্ন্যাসিনীরা।
৬. সন্ন্যাসে দীক্ষিত হওয়ার আগে একজন মহিলাকে প্রমাণ করতে হয় যে, তিনি ঈশ্বরেই সম্পূর্ণত সমর্পিত, এবং পার্থিব বাসনা-কামনায় তাঁর বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই।
৭. পুরুষ সন্ন্যাসীদের সঙ্গে সন্ন্যাসিনীদের পার্থক্য রয়েছে কেবল একটি জায়গাতেই— তাঁরা সন্ন্যাসীদের মতো নগ্ন হয়ে থাকেন না। বরং তাঁদের ক্ষেত্রে নিয়ম হল, হলুদ একটি কাপড় দিয়ে আবৃত রাখতে হবে শরীর। এমনকী, পূণ্যস্নানের সময়ও নগ্ন হওয়ার অধিকার তাঁদের নেই।
৮. যেহেতু তাঁদের জীবন সম্পূর্ণত ঈশ্বরে সমর্পিত সেহেতু তাঁদের দিন শুরু হয় ঈশ্বর আরাধনার মাধ্যমে, এবং দিন শেষও হয় ঈশ্বরচিন্তা দিয়ে।
৯. নাগা সন্ন্যাসিনীরা তাঁদের কপালে লাগান টিকা, এবং এক টুকরো সেলাইহীন কাপড় দিয়ে আবৃত রাখেন শরীর।
১০. একজন নাগা সন্ন্যাসিনীকে সন্ন্যাসী-বৃত্তে ‘মা’ বলে সম্বোধন করা হয়।
Post a Comment