ব্যবধান ২০০ কিমির, লকডাউনে দূষণ কমে যাওয়ায় কাঠমান্ডু থেকে স্পষ্ট দেখা গেল মাউন্ট এভারেস্ট


Odd বাংলা ডেস্ক: তুষারাবৃত মাউন্ট এভারেস্ট-এর অনাবিল সৌন্দর্য কিন্তু সত্যিই দেখার মতো। কিন্তু এই সৌন্দর্য স্বচক্ষে দেখার সুযোগ সকলে পান না। কিন্তু ভারতের এমন অনেক জায়গাই রয়েছে, যেখান থেকে খালি চোখে হিমালয়ের সৌন্দর্য দেখতে পাওয়ার কথা, কিন্তু দূষণের মোটা চাদরে তা অনেকসময়েই দেখার সুযোগ পেতেন না পর্যটক এবং প্রকৃতিপ্রেমীরা। 

তবে বর্তমানে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় সারা দেশে এমনকি বিদেশেও জারি করা হয়েছে লকডাউন। যার ফলে এই সময়ের মধ্যে একটু একটু করে সুস্থ হয়ে উঠছে প্রকৃতি। কারণ লকডাউনের কারণে দূষণের মাত্রা এখন অনেকটাই কম। লকডাউনের জেরে সারা বিশ্বে দূষণের মাত্রা চোখে পড়ার মতো কমে গিয়েছে। আর সেই কারণেই এবার মাউন্ট এভারেস্টের শৃঙ্গ চাক্ষুস করলেন নেপালের কাঠমান্ডুর সাধারণ মানুষ। 

প্রসঙ্গত, কাঠমান্ডু থেকে মাউন্ড এভারেস্টের দূরত্ব কিন্তু প্রায় ২০০ কিলোমিটার। কিন্তু যেহেতু বাতাসে দূষণের চাদর আজ বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে সেইকারণে, কাঠমান্ডু থেকে স্পষ্ট দেখা গেল মাউন্ট এভারেস্ট। নেপালের সাপ্তাহিক 'নেপালি টাইমস'-এর এক সাংবাদিক কাঠমান্ডু থেকে দৃশ্যমান মাউন্ট এভারেস্ট-এর ছবিগুলি তুলেছেন। যেখানে খালি চোখে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে তুষারাবৃত পাহাড় চূড়ায় পড়া সূর্যরশ্মি যেন গলানো সোনার মতো দেখাচ্ছে। 


বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন করোনাভাইরাস রুখতে চলতে থাকা লকডাউনের জেরে উত্তর ভারতের পাশাপাশি নেপালের বাতাসকেও সম্পূর্ণরূপে দূষণমুক্ত করেছে। তাই এত বছরে এই প্রথমবার কাঠমান্ডুর উপত্যকা থেকে দেখতে পাওয়া গেল। দূষণ কমে যাওয়ায় যেন শাপে বর হল। দূরত্বের সীমা ঘুচিয়ে কাঠমান্ডুবাসীর খালি চোখে ধরা পড়ল মাউন্ট এভারেস্ট। 
Blogger দ্বারা পরিচালিত.