মুরগির মাংস কিনতে গিয়ে ঠকছেন না তো? বাজারের আসল অবস্থা জানুন



Odd বাংলা ডেস্ক: প্রতিদিন বাড়ছে মুরগী মাংসের দাম।সঙ্গে মুরগীর পাইকারি বাজার দাম বাড়ছে প্রতিদিন। পোল্ট্রিতে চাষ হয় দু'ধরনের মুরগী ।এক ,সাদা বয়লার আরেকটি লাল ব্রয়লার। দুটি দামে কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। পোল্ট্রির এই লাল ব্রয়লারকে অনেকে দেশী মুরগী হিসেবে কিনে ঠকে যান। এই মুরগীর মাংস সাদা ব্রয়লার মুরগীর থেকে একটু ভিন্ন স্বাদের হয়। হাড় অনেকটা বেশি শক্ত হয়ে থাকে।দামের তারতম্যে সাদা পোলট্রি মুরগীর দাম ,লালের থেকে অনেকটা কম।তাই সাদা মুরগীর চাহিদা বেশি। বুধবার কলকাতার মুরগীর পাইকারি বাজারে গোটা মুরগি ১৪৭ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। 

লাল ব্রয়লার মুরগী ১৬০টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। যেহেতু সাদা মুরগি কেটে বিক্রি হয় ,তার জন্য খুচরো দোকানে ২৪০টাকা থেকে ২৫৯টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। আর লাল মুরগী গোটা ,আড়াইশো টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। পোল্ট্রি চাষীদের কাছে সাদা ব্রয়লার মুরগির মৃত্যুর হার গ্রীষ্মকালে অনেকটা বেশি। সে তুলনায় লাল পোল্ট্রি মুরগীর মৃত্যুর হার অনেক কম। মুরগীর মাংসের দাম বর্তমানে,এতটাই বেশি যে,তার কারণ হিসেবে পোল্ট্রি ফার্মের মালিক ও পাইকারি বিক্রেতারা তিনটি কারণ জানিয়েছেন- ১। করোনা ভাইরাসের আক্রমণে লকডাউন এর ফলে পরিবহন ব্যবস্থা বন্ধ থাকার জন্য, যে ডিম থেকে বাচ্চা ফোটানো হয়, সেই ডিম হ্যাচারি পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। যার ফলে মুরগীর বাচ্চা ফোটানো সম্ভব হয়নি। ২। ফেব্রুয়ারি মাস নাগাদ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে মুরগি মাংস খেলে করোনা ভাইরাস ছড়ায়। সেই গুজবে পোল্ট্রি মুরগীর চাহিদা একেবারে তলানিতে ঠেকেছিল। যার ফলে মুরগী চাষীরা খুবই অল্প দামে মুরগি বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছিল। ৩। ২০ শে মে ' আমফানের উপদ্রবে, বেশ কয়েকটি জেলায় মুরগীর পোল্ট্রি পুরোদমে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তার জন্য ঝড়ের পরে ২২ শে মে ' থেকে মুরগীর মাংসের দাম কেজিতে চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ টাকা বেড়ে গিয়েছে।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.