জ্বলে যাচ্ছে সারা শরীর, বন্ধ হয়ে আসছে শ্বাস-এমনই অনুভূতি অন্ধ্রের গ্যাস লিক কাণ্ডে আহত মানুষদের


Odd বাংলা ডেস্ক: বৃহস্পতিবার ভোররাতে বিশাখাপত্তনমের আর আর ভেঙ্কটাপুরমের মানুষের ঘুম ভেঙেছিল এক মারাত্মক দুঃস্বপ্নের মধ্যে! সেখানে বসবাসকারী মানুষদের ঘুমে মধ্যেই জ্বলে যাচ্ছিল ত্বক, চোখ থেকে জল পড়ছিল অঝোর ধারায়। সেইসঙ্গে মারাত্মক শ্বাসকষ্ট, কারওর কারওর নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসার জোগাড় হয়েছিল। আর সেই কারণেই ওই রাসায়নিক কারখানা সংলগ্ন এলাকার মানুষ এলাকা ছেড়ে পালাতে বাধ্য হন। 

কিন্তু কিছু দূর যাওয়ার পরই অধিকাংশ পরিবারের ছেলেমেয়ে-বয়স্ক ব্যক্তিরা ধীরে ধীরে অচৈতন্য হয়ে রাস্তাতেই শুয়ে পড়েছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় এইরকম অসংখ্য ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল, যেখানে দেখা গিয়েছে রাস্তার ধারে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে অসংখ্য মানুষের দেহ। ভাইজাগের এলজি পলিমার্স ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড দ্বারা পরিচালিত এলজি পলিমার রাসায়নিক ইউনিট থেকে বিষাক্ত স্টেরিন গ্যাস বেরোনোর পরেই এমন দৃশ্যই প্রকাশ্যে এসেছে। 

গোটা ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে ভেঙ্কটাপুরমের বাসিন্দা নবীন বলেন, 'ভোররাত ২টোর দিকে আমরা স্টেরিন গ্যাসের কারণে জেগে পড়েছিলাম। যেহেতু গ্রীষ্মকালীন, তাই আমরা ঘরের জানলা খোলা রেখেছিলাম। আচমকাই আমাদের ত্বক জ্বলতে শুরু করে এবং চোখ থেকে জল পড়তে থাকে। আমরা শ্বাস নিতে পারছিলাম না। যখন আমরা বাড়ি থেকে বেরোনোর চেষ্টা করেছিলাম চারিদিকে গ্যাসের চাদরে ঢেকে গিয়েছিল। আমরা স্পষ্ট করে কিছুই দেখতে পাচ্ছিলাম না, বুঝতেই পারছিলাম না যে এটা কী হচ্ছে। এরপরই রাস্তায় হাঁটতে শুরু করে লোকেরা। শিশু এবং বয়স্ক লোকেরা অজ্ঞান হয়ে পড়েছিল।'
ধারণা করা হচ্ছে যে এই বিষাক্ত গ্যাস লিক হয়ে গিয়ে প্রায় 4 কিলোমিটার ব্যাসার্ধে পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছিল এবং এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে 8 জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে দুটি শিশুও রয়েছে। কিং জর্জ হাসপাতালের একজন চিকিৎসক বলেছিলেন নিহত সকলের যে গ্যাসের কারণেই মৃত্যু হয়েছে তা নয়। দিকবিদিক জ্ঞানশূণ্য হয়ে ছোটাছুটির জন্য গুরুতর আহত হয়েছেন অনেকে! একজন তো আবার কুয়োর মধ্যে পড়ে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন। এই মুহূর্তে ১৫টি শিশু সহ বেশকিছু মানুষের অবস্থা আশঙ্কাজনক। 
Blogger দ্বারা পরিচালিত.