চীন প্রচুর পরিমানে সয়াবিন আমাদানি করছে, করোনার সঙ্গে কী কোনও সম্পর্ক আছে?
Odd বাংলা ডেস্ক: চলতি বছরের শুরু থেকে নভেল করোনাভাইরাস মহামারীর সঙ্গে লড়াই করেছে চীন। টানা লকডাউনের আওতায় দুই মাসের বেশি সময় কার্যত স্থবির হয়ে ছিল দেশটির আমদানি-রফতানিসহ সামগ্রিক ব্যবসায়িক কার্যক্রম। তবে এ সময়ের মধ্যেও সয়াবিন আমদানি বাড়িয়েছে চীন। চলতি বছরের প্রথম চার মাসে (জানুয়ারি-এপ্রিল) আন্তর্জাতিক বাজার থেকে চীনা আমদানিকারকরা কৃষিপণ্যটির আমদানি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় দশমিক ৫ শতাংশ বাড়িয়েছেন। কৃষিপণ্যটির সম্মিলিত আমদানি ২ কোটি ৪৫ লাখ টন ছাড়িয়ে গেছে। চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অব কাস্টমসের সর্বশেষ মাসভিত্তিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর সিনহুয়া ও এগ্রিমানি।
সয়াবিনের শীর্ষ ভোক্তা দেশ চীন। অভ্যন্তরীণ চাহিদার সিংহভাগ আমদানি করা সয়াবিন দিয়ে পূরণ করে দেশটি। কৃষিপণ্যটির আমদানিকারক দেশগুলোর বৈশ্বিক তালিকায়ও চীনের অবস্থান শীর্ষে। দেশটির সরকারি তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি-এপ্রিল সময়ে চীনা আমদানিকারকরা আন্তর্জাতিক বাজার থেকে সব মিলিয়ে ২ কোটি ৪৫ লাখ ১০ হাজার টন সয়াবিন আমদানি করেছেন। এক বছরের ব্যবধানে দেশটিতে কৃষিপণ্যটির আমদানি বেড়েছে দশমিক ৫ শতাংশ।
এ সময় চীনের বাজারে প্রতি টন সয়াবিনের গড় আমদানি মূল্য দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭৯৮ দশমিক ৪ ইউয়ান (চীনা মুদ্রা) বা ৩৯৪ ডলারে। এক বছরের ব্যবধানে দেশটিতে কৃষিপণ্যটির গড় আমদানিমূল্য ২ দশমিক ৮ শতাংশ বেড়েছে বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে চীনের রাজস্ব বিভাগ।
এদিকে মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) ফরেন এগ্রিকালচারাল সার্ভিসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৭ সালে চীনের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সয়াবিন আমদানি হয়েছিল। ওই বছর চীনা আমদানিকারকরা সব মিলিয়ে ৯ কোটি ৪০ লাখ ৯৫ হাজার টন সয়াবিন আমদানি করেছিলেন, যা আগের বছরের তুলনায় দশমিক ৬৪ শতাংশ বেশি।
তবে পরের বছরই দেশটিতে কৃষিপণ্যটির আমদানি ১২ দশমিক ২৮ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ৮ কোটি ২৫ লাখ ৪০ হাজার টনে। আর গত বছর চীনা আমদানিকারকরা আন্তর্জাতিক বাজার থেকে মোট ৮ কোটি ৮০ লাখ টন সয়াবিন আমদানি করেছেন, যা আগের বছরের তুলনায় ৬ দশমিক ৬১ শতাংশ বেশি। তবে বিশেষজ্ঞমহল মনে করছে চীন আগে থেকেই আঁচ করতে পেরেছে যে বিশ্ব জুড়ে করোনার কারণে তৈরি হতে পারে দুর্ভিক্ষ। আর সেই কারণেই এই ব্যবস্থা নিয়েছে চীন।
Post a Comment