চরম অমানবিক! সরকারি স্কুলের শৌচাগারে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন এই শ্রমিক দম্পতি
Odd বাংলা ডেস্ক: করোনার ভয়ে গ্রামে ঢুকতে দেওয়া হয়নি এক শ্রমিক দম্পতিকে, কিন্তু তাঁদের সঙ্গে যা করা হল, তা নিঃসন্দেহে অমানবিক। সূত্রের খবর ওই শ্রমিক দম্পতিকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি তাঁদের গ্রামে, আর এরপর থেকে তাঁরা বাধ্য হয়েই আশ্রয় নিয়েছেন সরকারি স্কুলের শৌচাগারে। অমানবিক এই ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের গুনা জেলায়।
স্থানীয় সূত্রে খবর, তাঁদের গ্রামে পৌঁছোনোর আগে তাঁদের করোনা স্ক্রিনিং করা হয়েছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি গ্রামে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ছবিতে দেখা গিয়েছে রাঘোগড় তহসিলের টোডড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত একটি বিদ্যালয়ের শৌচাগারের মধ্যে বসেই খাবার খাচ্ছেন ওই শ্রমিক এবং পাশেই দাঁড়িয়ে তাঁর স্ত্রী।
জানা গিয়েছে, ভাইয়ালাল সাহারিয়া এবং তাঁর স্ত্রী ভুরিবাই এবং তাঁদের দুই সন্তানকে নিয়ে গিয়েছিলেন রাজগড়ে সেখানেই দৈনিক আয়ে কাজ করতেন তিনি। এরপর শনিবার সন্ধায় তিনি নিজের গ্রামে ফিরে আসেন। অভিযোগ এরপর তাঁদের গ্রামে ঢুকতে দেননি এলাকাবাসী। তাঁদের করোনা স্ক্রিনিং হওয়া সত্ত্বেও তাঁদের গ্রামে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। এরপর রবিবার সকালে তাঁরা একপ্রকার বাধ্য হয়েই আশ্রয় নেন সরকারি স্কুলের ওই শৌচাগারে। সরকারি স্কুলবাড়ি বন্ধ থাকার কারণে সেখানেই রান্না করে খাওয়া-দাওয়া করছেন তাঁরা।
#Guna home turf of BJP leader Jyotiraditya Scindia.— thakursahab (@65thakursahab) May 3, 2020
Toilets being used as quarantine quarters.
Let's shower some rose petals, to quell the stink. pic.twitter.com/QJt4tbnvLo
যদিও জনপদ পঞ্চায়েতের চিফ একজিকিউটিভ অফিসার জিতেন্দ্র ঢাকরে ওই দম্পতির শৌচালয়ে কোয়ারেন্টাইন থাকার অভিযোগটি অস্বীকার করেছেন এবং এ বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। পরে অবশ্য পরিবারটিকে মূল বিদ্যালয় ভবনে স্থানানরিত করা হয়েছে।
Post a Comment