লকডাউনে বুঝেছেন বন্দিদশার কষ্ট, তাই উড়িয়ে দিলেন দোকানের সমস্ত খাঁচার পাখি



Odd বাংলা ডেস্ক: করোনা সংক্রমণ রোধে দেশ জুড়ে লকডাউন পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ এখন গৃহবন্দি। কিন্তু খাঁচার পাখিদের আর কী লকডাউন। তারা এমনিই সারাজীবন বন্দি। তাই কিছু খাঁচার পাখিদের খোলা আকাশে উড়িয়ে দিল এক যুবক। কুলটি অঞ্চলের বাসিন্দা সুপ্রিয় কর্মকার তার নিজের উদ্যোগে আসানসোলের শতাব্দি শিশু উদ্যান সংলগ্ন এলাকায় উপস্থিত হয়ে পাখি ওয়ালাদের কাছ থেকে একগুচ্ছ পাখি কিনে আকাশে উড়িয়ে দেন। তাতে খুশিই হন পাখি বিক্রেতা। তাঁকে অবাক করে একঝাঁক বদ্রিকা আকাশে উড়িয়ে দেন ক্রেতা। লকডাউনের বন্দিদশা উপলব্ধি করে এমনটাই করলেন কুলটির সমাজকর্মী সুপ্রিয় কর্মকার। খাঁচার পাখিদের মুক্ত আকাশে উড়িয়ে দিলেন আজাদির স্বাদ।


করোনা সংক্রমণ রোধে দেশজুড়ে লকডাউনে সাধারণ মানুষ গৃহবন্দি। বন্দিত্বের যন্ত্রণা কত সেটা বুঝেছেন সমাজকর্মী সুপ্রিয়। একটি বেসরকারি হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মীর কাজ করেন। কিছুদিন আগে আসানসোলের শতাব্দী শিশু উদ্যান সংলগ্ন এলাকায় আসেন তিনি। পাখি বিক্রেতার কাছ থেকে একগুচ্ছ রঙিন বদ্রিকা পাখি কিনে নেন। পার্কে লোকজন আসছে না, বিক্রিবাটা নেই। প্রায় সব পাখি বিক্রি হওয়ায় খুশি হন বিক্রেতা। ঐ যুবক বলেন লকডাউন পরিস্থিতিতে গৃহবন্দি থেকে বন্দি জীবনের কষ্ট হাড়েহাড়ে অনুভব করছি। বুঝতে পারছি কী কষ্টে দিন কাটায় খাঁচায় বদ্ধ পশু পাখিরা। তাই প্রকৃতির কোলে থাকা পাখিদের প্রকৃতির কোলে ফিরিয়ে তাদের মুক্তির স্বাদ দিতে ইচ্ছে করলো। প্রায় ২ হাজার টাকা খরচ করে ১৫টি পাখি কিনেছিলেন তিনি। ছাড়া পেয়ে ডানা ঝাপটাতে ঝাপটাতে বদ্রিকার ঝাঁক মিলিয়ে যায় আকাশে। এতেই খুব খুশি যুবক। তিনি বলেন পকেট আর টাকা ছিল না। থাকলে সব কটাকেই খাঁচা থেকে মুক্ত করে দিতাম।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.