প্রত্যেকের থেকে রোজ ৯০ কেজি মল চাই, না মানলে শাস্তি! কিম-জং-উনের নতুন নিয়ম



Odd বাংলা ডেস্ক: কিম জং উনকে নিয়ে বিত’র্ক যেন শেষ হয়েও শেষ হচ্ছে না। মাসখানের অন্তরালে থাকার পর সম্প্রতি জনসমক্ষে এসে বিত’র্ক ধামাচাপা দিয়ে ছিলেন উত্তর কোরিয়ার দাপুটে শাসক। কিন্তু, প্রকাশ্যে আসার পরও একাধিক বিত’র্ক তার পিছু ছাড়ছে না। তারমধ্যে রয়েছে- কিম জং উন আর বেঁচে নেই। আবার নিজে না এসে, সংবাদ মাধ্যমের সামনে নাকি ডামি পেশ করেছেন- এমনই ভূরি ভূরি বিত’র্ক নিয়েই রয়েছেন কিম জং উন। আর ফের একবার বিত’র্কিত নির্দেশ দিয়ে খবরের শিরোনামে উত্তর কোরিয়ার শাসক। দেশের প্রত্যেক নাগরিককে দিনে ৯০ কেজি করে মল ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন কিম জং উন। জানা গেছে, প্রত্যেক নাগরিককে দৈনিক ৯০ কেজি মল সার প্রশাসনের কাছে জমা দিতে হবে। আরও স্পষ্ট করে বললে, সুস্থ নাগরিকদের ব্যক্তিগত মল জাতীয় বর্জ্য ব্যবহার করেই এই সার জোগাড় করতে বলা হয়েছে। নিজস্ব না হলে পশুর মল ব্যবহার করেও ৯০ কেজি সারের ব্যবস্থা করা যাবে।


স্বৈরাচারি শাসকের নির্দেশ অমান্য করলে রয়েছে শাস্তিও। রেডিও ফ্রি এশিয়ার খবর অনুযায়ী, পিয়ংইয়ংয়ের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, এই নির্দেশ অমান্যে করলে সংশ্লিষ্ট নাগরিককে ৩০০ কেজি সারের বন্দোবস্ত করতে হবে। তাও না দিতে পারলে, নাগরিকদের থেকে জরিমানা বাবদ অর্থ নেওয়া হবে।


দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সংঘাতের কারণে উত্তর কোরিয়ায় সারের অভাব বহু সময় ধরেই। কিম জং উনের বাবার সময় থেকেই সার-সংঘাতে জড়িয়ে দুই পড়শি দেশ। দীর্ঘ অজ্ঞাতবাসের পর গত ১লা মে সব কৌতূহলের অবসান ঘটিয়ে সর্বসমক্ষে আসেন কিম জং উন। রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ের কাছে সানচনে একটি সার কারখানার ফিতে কাটতে দেখা গিয়েছিল তাকে।
এই প্রথম নয়, অজ্ঞাতবাস কাটিয়ে জনসমক্ষে আসার পর সম্প্রতি দেশে বহু প্রচলিত ওয়ন মুদ্রার ব্যবহার আচমকা বন্ধ করে দেন কিম জং উন। যার জেরে বিপদে পড়েন ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা। ফক্স নিউজে প্রকাশিত এই মল ত্যাগের নির্দেশও কোরিয়ার কিমের স্বৈ’রাচা’রি শাসনের অংশ।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.