দাউ দাউ করে জ্বলছে উত্তরাখণ্ডের বিস্তীর্ণ বনাঞ্চল, মহামারির মধ্যে তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবার নয়া চ্যালেঞ্জ


Odd বাংলা ডেস্ক: জ্বলছে উত্তরাখণ্ডের ঘন জঙ্গল বিস্তীর্ণ জঙ্গল।সেখানে শুরু হয়ে গিয়েছে দাবানলের প্রক্রিয়া। চার দিনের মধ্যে প্রায় ২০টি দাবানলের ঘটনা ঘটেছে। যদিও এখনও অন্যান্য বছররে তুলনায় দাবানলের আগুন ছড়িয়ে পড়ার হার অনেকটাই কম। তবে এর জেরে ব্যপকভাবে পরিবর্তীত হচ্ছে আবহাওয়া। যার ফলে তাপমাত্রা বিপুল পরিমাণে বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা সাম্প্রতিককালের একটা বিরাট চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

প্রসঙ্গত, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে এই দাবানলের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যায়, সেইসময়ে বাতাসের পরিস্থিতি দমকমবাহিনীর কাজের অনুকূল ছিল। তাছাড়া সেইসময়ে বৃষ্টি এবং তুষারপাতের জেরে অগ্নিকান্ডের ঘটনা সেই অর্থে বিস্তার লাভ করেনি। কিন্তু যদি আমরা সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানের দিকে চোখ রাখি, তাহলে গত ১৮ মে পর্যন্ত উত্তরাখণ্ডে ২০ টি দাবানলের ঘটনা ঘটেছিল, কিন্তু বর্তমানে সংখ্যা বেড়ে হয়েছে দ্বীগুণেরও বেশি, ৪৩। যদিও বিশেষজ্ঞদের দাবি এই সংখ্যাটা ততটাও ভয়ের নয়, আসল কঠিন পরিস্থিতি আসছে আগামী দিনে।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে সমৃদ্ধ উত্তরাখণ্ডের জীববৈচিত্র্যও অতুলনীয়। চারধাম ছাড়াও, এই রাজ্যই পবিত্র সব নদীর উৎপত্তিস্থল। রাজ্যটি ৭১.০৫ শতাংশ বনাঞ্চলে ঘেরা, যেখানে ওষধির একটা বিপুল সম্ভার রয়েছে। অন্যদিকে বন্যপ্রাণের বৈচিত্র্যও অনন্য।

সারাদেশে পাওয়া অর্ধেকেরও বেশি প্রজাতির পাখি এখানে পাওয়া যায়। উত্তরাখণ্ড জল-বন-জমি কারণে বার্ষিক তিন লক্ষ কোটিরও বেশি ইকো-সিস্টেম পরিষেবা সরবরাহ করছে। তা সত্ত্বেও, এই পার্বত্য রাজ্যে জীববৈচিত্র্যের সামনে পাহাড়প্রমাণ চ্যালেঞ্জও রয়েছে।জৈবিক উৎসের অনিয়ন্ত্রিত বিনাশসাধনও চলছে। শিকারি-চোরাচালানীরা ওত পেতে রয়েছে। অপরিকল্পিত বিকাশও এখানকার জীব বৈচিত্রকে প্রভাবিত করেছে। যার ফলে এখানকার সমৃদ্ধ জীববৈচিত্র্যেকে সর্বস্তরেই সংরক্ষণের ব্যবস্থা নিতে হবে।

করোনা মহামারির কারণে অর্থনীতি ব্যপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এবং উত্তরাখণ্ডও এর ব্যতিক্রম নয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে, অর্থনীতিকে আবারও মূল ট্র্যাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা শুরু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে উত্তরাখণ্ডের পরিবেশগত পর্যটনকে একটা বিরাট সম্ভাবনা হিসাবে দেখা হচ্ছে। এর জন্য প্রয়োজন ইকোলজিক্যাল ট্যুরিজম। পর্যটন ক্রিয়াকলাপকে প্রকৃতির ওপর আঘাত না হেনে কীভাবে পরিচালিত করা যায়, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তার অবকাশ রয়েছে। এতে সামাজিক দূরত্বের মানগুলি যথাযথভাবে মেনে, কীভাবে কম সংখ্যক পর্যটক দিয়ে আয় বাড়ানো যায়, সেই চেষ্টা করা দরকার। 
Blogger দ্বারা পরিচালিত.