করোনা পরিসংখ্যান নিয়ে মিথ্যা বলছে ভারত সরকার, বিদেশি সংবাদ সংস্থার চাঞ্চল্যকর দাবি



Odd বাংলা ডেস্ক: গত ৮ মে প্রকাশিত কোভিড-১৯ নীতিতে ভারত সরকার জানিয়েছে, রোগীদের ছাড় দেওয়ার প্রটোকল নির্ভর করবে রোগের তীব্রতা এবং বর্তমানে নির্ধারিত লক্ষণের মাত্রার ওপর। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ (আসিএমআর) জানিয়েছে, করোনা আক্রান্তের শারীরিক অবস্থা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, কোভিড-১৯ পজিটিভ ধরা পড়ার ১০ দিন পর এটি নেগেটিভে রূপ নেয়। 

 সরকারের পরামর্শ অনুযায়ী, হাসপাতালে থাকা করোনা রোগীদের লক্ষণ মাঝারি বা হালকা হলে তাদের ছাড়পত্র দেওয়ার আগে পরীক্ষার প্রয়োজন নেই। এর মানে হচ্ছে, মাঝারি বা হালকা লক্ষণযুক্ত রোগীদের ১০ দিন পর হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে। এছাড়া যেসব রোগীর জ্বর নেই বা তিন দিন অক্সিজেন দেওয়ার প্রয়োজন পড়েনি তাদেরকেও ছাড়পত্র দেওয়া হবে। একমাত্র গুরুতর অসুস্থ রোগীদের বেলায় পুরোপুরি সুস্থ বা কোভিড-১৯ রিপোর্ট নেগেটিভ না আসার আগ পর্যন্ত ছাড়পত্র দেওয়া হবে না। সরকারের ঘোষিত এই নতুন নির্দেশনার আগে পরপর দুটি পরীক্ষায় কোভিড-১৯ রিপোর্ট নেগেটিভ না হলে রোগীদের হাসপাতাল থেকে ছাড়া হতো না।

 বেশ কয়েক জন চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে স্পুৎনিক জানিয়েছে, ৮ মে পর্যন্ত ভারতে করোনা থেকে সুস্থ মানুষের সংখ্যা দেখানো হয়েছিল ১৬ হাজার ৫৪০ জন। এর পর থেকে জুনের শেষ নাগাদ পর্যন্ত সুস্থতার সংখ্যা দেখানো হয়েছে ৫৪ হাজার ৫৬৬ জন। দিল্লির এক সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক সরকারের এই পদক্ষেপের সমালোচনা করে বলেছেন, এর মাধ্যমে সরকার করোনা থেকে সম্পূর্ণ সুস্থ রোগীদের সংখ্যা গোপন করছে। সরকার নিজের সাফল্যের ডঙ্কা বাজাতে পরীক্ষা ছাড়াই সুস্থতার হার বাড়িয়ে প্রকাশ করছে। এতে হয়তো সুস্থতার সংখ্যা বাড়িয়ে প্রকাশ করা যাবে, কিন্তু সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যাবে।

সূত্র: স্পুৎনিক
Blogger দ্বারা পরিচালিত.