দরজা খুলতে দেরি, তাই ১৩ বছরের কাজের মেয়ের হাত ভেঙে দিল বাড়ির মালিক ও তার স্ত্রী



Odd বাংলা ডেস্ক: ঘটনাটি ঘটেছে ঈদের দিন প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের সাতক্ষীরার তালা উপজেলায়। সেখানকার পাটকেলঘাটা বাজারের এমবিবিএস ডাক্তার বরকতউল্লাহর বড় ছেলে ইঞ্জিনিয়ার খালিদ সাইফুল্লাহ বাড়ির কাজের মেয়ে রানী খাতুনকে (১৩) ব্যাপক নির্যাতন চালিয়েছে। ভেঙে দেওয়া হয়েছে তার একটি হাত। ঈদের দিন সোমবার দুপুর বেলা ঘরের দরজা খুলতে দেরি করায় পাটকেলঘাটা বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ইট দিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করা হয়েছে। বর্তমানে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে মেয়েটি। অভিযোগ রয়েছে, পাটকেঘাটার ডাক্তারের ছেলে খালিদ সাইফুল্লাহ ও তার স্ত্রী লাবনী প্রায় শিশুটিকে শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে আসছিল। ঈদের দিন দুপুরে সে ঘর পরিষ্কার করছিল। এ সময় দরজায় ধাক্কা দেন সাইফুল্লাহ। দরজা খুলতে দেরি হওয়ায় তার উপর নির্যাতন চালায়।

ডা. বরকত ও তার স্ত্রী জানান, তার ছেলের কাছে তারা অসহায়। নির্যাতিত শিশু রানীর বাড়ি যশোরের খেদাপাড়ায়। রানীর জন্মের সময় তার মা মারা যায়। এ সময় তারা মেয়েটিকে এনে নিজের মেয়ের মতোই মানুষ করে। এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মেয়েটির পাশে দাঁড়ানোর মতো কিংবা কোথাও জিডি বা বিচার চাওয়ার মতো কেউ নেই। বর্তমানে মেয়েটি সদর হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছে। সাইফুল্লাহর বিরুদ্ধে তার পিতা মাতাও অবস্থান নিতে পারছে না। তবে অভিযুক্ত খালিদ সাইফুল্লাহ ও তার স্ত্রী বাড়িতে তালা মেরে সরে পড়েছে বলে জানা গেছে।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.