অতিরিক্ত ঘাম হওয়া এড়াতে মেনে চলুন এই সহজ ঘরোয়া উপায়
Odd বাংলা ডেস্ক: গরমকালে ঘাম হওয়াটা স্বাভাবিক, কিন্তু অতিরিক্ত ঘাম হওয়াটা কখনওই কাম্য নয়। তাই সহজ কয়েকটি ঘরোয়া সমাধানে আপনারা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন ঘাম। জেনে নিন।
১) অ্যাপল সিডার ভিনিগার- ঘাম নিয়ন্ত্রণ করতে অ্যাপল সাইডার ভিনিগার বেশ কার্যকরী। ত্বকে ব্যবহার করে ঘাম নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি অ্যাপল সিইডার ভিনিগার নিয়মিত খাওয়ার ফলে ত্বকের পিএইচ স্তর ঠিক রাখতে সাহায্য করে।প্রথমে অতিরিক্ত ঘাম হওয়া স্থানগুলো ভাল মতো পরিষ্কার করে নিয়ে তারপর তুলোর বলে অ্যাপল সিডার ভিনিগার নিয়ে ওই জায়গায় লাগিয়ে সারা রাত রেখে দিতে হবে। সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে স্নান করে পাউডার বা ডিউডরেন্ট লাগাতে হবে।
২) বেকিং সোডা- বেকিং সোডাও শরীরকে অতিরিক্ত ঘামের হাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। বেকিং সোডা প্রাকৃতিক ভাবে শরীরের ঘাম শোষণ করে ও দুর্গন্ধ কমায়। এছাড়া শরীরের যে অংশ বেশি ঘামে সেখানের পিএইচ লেভেলের মাত্রা কমাতেও বেকিং সোডা সাহায্য করে। এরজন্য পরিমাণমতো জলের সঙ্গে ১ টেবিল-চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। তারপর এই পেস্টের সঙ্গে পছন্দমতো তিন থেকে চার ফোঁটা এসেন্সিয়াল মিশিয়ে নিয়ে বগলে এবং যে সব জায়গা বেশি ঘামে সেসব জায়গায় লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেললে উপকার পাওয়া যাবে।
৩)লাল চা- অতিরিক্ত ঘাম কমাতে লাল চা বেশ কার্যকারী। লাল চা-য়ে থাকা ট্যানিক অ্যাসিড ঘাম প্রতিরোধ করতে পারে। এছাড়া লাল চা ঘাম গ্রন্থি সংকোচন করে অতিরিক্ত ঘামানোর হাত থেকে শরীরকে রক্ষা করে। পাশাপাশি শরীরের দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী জীবাণু ধ্বংস করতেও লাল চা সমান কার্যকারী। এরজন্য ৩-৪ কাপ গরম জলে একটি বা দুইটি টি-ব্যাগ ভিজিয়ে ১০ মিনিট রেখে দিতে হবে। তারপর ওই জলে পরিষ্কার কাপর ভিজিয়ে বগল ও গলায় লাগাতে হবে।
৪) শ্বেতচন্দন- সাদা চন্দনের পাউডার বা গুঁড়া ত্বক শুষ্ক রাখার মাধ্যমে ঘাম নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এতে আছে বিভিন্ন ধরনের এনজাইম যা ত্বকের অতিরিক্ত ঘাম শোষণ করে নেয়। এছাড়া চন্দনের সুগন্ধি ঘাম থেকে তৈরি দুর্গন্ধ দূর করতে সাহায্য করে। এর জন্য যা করবেন, তা হল পরিমাণমতো গোলাপ জলের সঙ্গে এক টেবিল-চামচ সাদা চন্দনের গুঁড়ো মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে। এর সঙ্গে অল্প পরিমাণ লেবু মিশিয়ে নিন। তারপর শরীরের যে অংশে বেশি ঘাম হয়, সেখানে পরিষ্কার করে এই পেস্ট লাগিয়ে শুকিয়ে না যাওয়া পর্যন্ত রাখতে হবে। তারপর হালকা জল দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে।
৫) লেবু- লেবু প্রাকৃতিক ডিওডোরেন্ট হিসেবে কাজ করে, যা ঘাম থেকে তৈরি দুর্গন্ধ দূর করতে সাহায্য করে। এক গ্লাস জলে পরিমাণমতো লেবুর রস মিশিয়ে সেটা দিয়ে তোয়ালে ভিজিয়ে সারা শরীর ভালোভাবে স্পঞ্জ করে ২০-৩০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। তারপর ঠান্ডা জল দিয়ে স্নান করে নিন। এভাবে প্রতিদিনই স্নানের আগে গায়ে লেবুর রস মিশ্রিত জল দিয়ে গা স্পঞ্জ করে নিন।
তবে মাত্রাতিরিক্ত ঘাম হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
তবে মাত্রাতিরিক্ত ঘাম হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
Post a Comment