নিজের বোনকে গর্ভবতী করে দিয়েছিলেন যে দেশের রাষ্ট্রপতি



Odd বাংলা ডেস্ক: বর্তমান উগান্ডায় প্রাচীনতম মানব বসতি স্থাপন করেছিল আদিম শিকারী মানুষেরা। আজ থেকে আনুমানিক ২০০০ বা ১৫০০ বছর আগে বান্টু ভাষাভাষী জনগণ প্রধানত মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকা থেকে দেশটির দক্ষিণাংশে অভিবাসী হয়ে এসে বসবাস শুরু করে। এই জনগোষ্ঠীর লোকদের লোহার কাজ সম্বন্ধে বিশেষ জ্ঞান ছিল এবং তারা সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনসমূহের নীতিও জানতো। ১৪শ ও ১৫শ শতকে রাজত্ব বিস্তারকারী কিতারা সাম্রাজ্য এখানকার প্রাচীনতম রাজনৈতিক বা রাষ্ট্রীয় সংগঠন। এই সাম্রাজ্যের পর দেশটিতে উত্থান ঘটে বুনিইওরো-কিতারা, বুগান্ডা এবং আনকোলে সম্রাজ্যের। পরবর্তী শতকগুলোতে এভাবেই ক্ষমতার পালাবদল অব্যাহত ছিল।

১৯শ শতকের শেষের দিকে ইউরোপীয় ঔপনিবেশিকদের আগমনের পূর্বে এখানে অনেকগুলি শক্তিশালী রাজত্ব ছিল, যাদের মধ্যে বুগান্ডা ও বুনিয়োরো উল্লেখযোগ্য। ১৮৯৪ সালে উগান্ডা একটি ব্রিটিশ প্রোটেক্টোরেটে পরিণত হয়। ১৯২৬ সালে এর বর্তমান সীমানা নির্ধারিত হয়। ১৯৬২ সালে এটি ব্রিটিশ শাসন থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। ১৯৭০-এর দশকে ও ১৯৮০-র দশকের শুরুর দিকে উগান্ডা দুইটি রক্তঝরানো স্বৈরশাসন (ইদি আমিন ও মিল্টন ওবোতে) এবং দুইটি যুদ্ধের শিকার হয়। এর মধ্যে ইদি আমিন ছিলেন সবচেয়ে ভয়ঙ্কর। 

‘দ্য বুচার অব উগান্ডা’ নামে সমধিক পরিচিত ইদি আমিন দাদা আফ্রিকার ইতিহাসে অন্যতম বর্বর ও স্বৈরাচারী একনায়ক। ১৯৭০ এর দশকে উগান্ডায় সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আরোহণ করেন এবং আট বছরের শাসনামলে ১ লক্ষের অধিক মানুষকে হত্যা, গুম, নির্যাতন, নির্বাসন কিংবা ফাঁসি দেন এই উগান্ডান কসাই। তবে এই সংখ্যাটি অনেক হিসেবে ৫ লক্ষও ছাড়িয়েছে! এই স্বৈরাচারী শাসকের মৃত্যু হয়েছিল ২০০৩ সালের আজকের দিনে। চলুন দেখে আসি কীভাবে সাধারণ পরিবারে জন্ম নেওয়া এক সাধারণ বালক হয়ে উঠলো ‘বর্বর’ খুনী। অধিকাংশ সামরিক স্বৈরশাসকেরই ক্ষমতায় আরোহণ ঘটে ‘ক্যু ডেটা’ (ফ্রেঞ্চ উচ্চারণ) বা মিলিটারি ক্যু (সামরিক অভ্যুত্থান) এর মাধ্যমে। 




‘বুচার অব উগান্ডা’ খ্যাত ইদি আমিন দাদা এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ছিলেন না। তিনি ওবোতের সাথে বন্ধুত্বের সুযোগ কাজে লাগিয়ে নিজের সামরিক ক্ষমতা ও প্রভাব বৃদ্ধি করতে থাকেন। শুধু তা-ই নয়, তলে তলে তিনি ব্রিটিশ ও ইসরায়েলি গুপ্তচরদের সাথেও হাত মেলান। তবে বিশ্বস্ত বন্ধুর অবিশ্বস্ততার তথ্য চলে যায় ওবোতের কাছে। প্রথমে তিনি আমিনকে গৃহবন্দী করেন। কিন্তু ততদিনে আমিনের বেশ প্রভাব ও সেনাবাহিনীতে একটা সমর্থক গোষ্ঠী তৈরি হয়েছিল। ফলে তাকে গৃহবন্দী রাখা সম্ভব হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে ওবোতে আমিনকে মুক্ত করে দেন এবং একটি অ-প্রসাশনিক পদে নিয়োগ করেন। তবে সর্বনাশ যা হবার তা ততদিনে হয়েই গেছে, আমিন কেবল সুযোগ খুঁজছিলেন। অবশেষে সেই সুযোগ এলো ১৯৭১ সালের ২৫ জানুয়ারি। ওবোতে তখন রাষ্ট্রীয় সফরে সিঙ্গাপুর ছিলেন। আমিন এই সুযোগে ক্যু করলেন এবং দেশের ক্ষমতা দখল করে নিলেন। ক্ষমতা দখল করেই নিজেকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে ঘোষণা করে তার দেওয়া প্রথম ভাষণের শুরুতে তার পরিচিতিমূলক প্রথম কয়েকটি লাইন শুনলে যে কেউ বিস্মিত হতে বাধ্য! মজার ব্যাপার হচ্ছে প্রাথমিকভাবে ইদি আমিনকে উগান্ডার শাসনব্যবস্থায় স্বাগত জানিয়েছিল উগান্ডার জনগণ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। ক্ষমতায় বসে প্রথমেই আমিন রাষ্ট্রীয় পুলিশ বাহিনী ভেঙে দিলেন এবং নিজস্ব এক ‘কিলার’ বাহিনী গঠন করলেন। এরপর শুরু হলো ওবোতের সমর্থকদের উপর তার নির্মম অত্যাচার।

নিজের বোনের সঙ্গে রেখেছিলেন যৌন সম্পর্ক 


ইদি আমিনের যৌন খিদা 

এই শাসক এক একটা পরিবারকে ধরে আনত এবং তারপর সেই পরিবারের সমস্ত মহিলাদের সঙ্গে যৌন সঙ্গম করত। কাউকে ছাড়ত না। ১৮ বছরের নিচের বয়সি মেয়েদের গর্ভবতী পর্যন্ত করে দিত। তাঁর জীবনে করা সবচেয়ে ভয়ঙ্কর কাজগুলির মধ্যে একটি হল সে নিজের বোনকেই গর্ভবতী করে দিয়েছিল। এবং পরে তাকে বিয়েও করে এই শাসক। 
Blogger দ্বারা পরিচালিত.