জীবনে প্রতিষ্ঠা চাইলে গোপন রাখুন এই পাঁচটি কথা, বলছে শাস্ত্র



Odd বাংলা ডেস্ক: দেবগুরু বৃহস্পতি যেমন বৈদিক দেবতাদের কাছে শ্রদ্ধেয় ছিলেন, অসুর-গুরু শুক্রাচার্যকেও কিন্তু দেবতারা মান্য করে চলতেন বলেই জানায় পুরাণসমূহ। কিংবদন্তি অনুসারে তিনি নিজেকে দুই ভাগে বিভক্ত রেখেছিলেন। একটি ভাগ দেবতাদের জ্ঞান লাভের জন্য ও অন্যটি অসুরদের জ্ঞানলাভের জন্য তিনি দান করেছিলেন। শুক্রাচার্যের উপদেশ দেবতাদেরও কাজে এসেছিল। তাঁরা তাঁর প্রদর্শিত নৈতিক বিধিকে মান্যতা দিতেন এবং অক্ষরে অক্ষরে পালন করতেন। গুরু শুক্রচার্যের উপদেশ সনাতন ভারতীয় সংস্কৃতিতে ‘শুক্র নীতি’ নামে পরিচিত। শুক্র নীতি বেশ কিছু নৈতিক উপদেশকে ব্যক্ত করে। এর মধ্যে একটি হল— আত্মপ্রতিষ্ঠার জন্য কিছু বিষয় জনসমক্ষে গোপন রাখাই শ্রেয়। এক নজরে দেখে নেওয়া যেতে পারে শুক্র-কথিত বিষয়গুলিকে।

• শুক্রাচার্য মনে করতেন, সম্পদ থেকেই অনর্থ জন্মায়। কিন্তু সম্পদই মানুষের মধ্যে লালসার জন্ম দেয়। লালসা শেষ পর্যন্ত বিপর্যয়কে ডেকে আনে। যত সম্পদই আহরণ করুন না কেন, তা অন্যের মধ্যে লোভ বা লালসার জন্ম দেবেই। তাই অসুরাচার্যের উপদেশ, নিজের সম্পদের কথা কখনওই ফলাও করে বলতে নেই। তা গোপন রাখাই শ্রেয়।

• নিজের অপমানকে গোপন রাখার নির্দেশ দিয়েছেন শুক্রাচার্য। অপমানের খবর দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে। সামান্য অপমান তখন বহুগুণ হয়ে ফিরে আসে। তাই নিজের অপমানগুলিকে নিজের ভিতরে রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ।

• ভক্তি বিষয়টিও জনসমক্ষে বলে বেড়ানোর মতো নয়। কারণ ভক্তির মধ্যে নিহিত থাকে আত্মনিবেদন। তা প্রকাশ্যে এলে আত্ম-বিচ্ছিন্ন হয়। ভক্তির যাবতীয় মহিমা লুপ্ত হয়।

• নিজের একান্ত ব্যক্তিগত মুহূর্তগুলিকে নিজের কাছেই রাখুন। অন্য লোক তাকে আপনার দুর্বলতা বলে মনে করতে পারে।

• শুক্রাচার্যের মতে দান সব সময়ে গোপন রাখাই ভাল। কারণ দানকার্য জনসমক্ষে এলে দাতার মধ্যে আত্মম্ভরিতা দেখা দিতে পারে। দান তার মহিমা হারায়।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.