মরু পঙ্গপালের দল তাণ্ডব চালাচ্ছে ভারতে, ড্রোন থেকে ছড়ানো হবে কীটনাশক, রাজ্যে জারি হল উচ্চ সতর্কতা


Odd বাংলা ডেস্ক: গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ এবং হরিয়ানার পর এবার মরু পঙ্গপালের বিশাল ঝাঁক পশ্চিম এবং মধ্যভারত জুড়ে মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ এবং পঞ্জাবে প্রচুর পরিমাণে ফসল ধ্বংস করছে। সরকার জানিয়েছে গত তিন দশকের মধ্যে ২০২০ সালেই মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতি করছে পঙ্গপালের দল। 

বুধবার পর্যন্ত রাজস্থানের ২০টি জেলা, মধ্যপ্রদেশের ৯টি জেলা, গুজরাটের ২টি এবং উত্তরপ্রদেশ এবং পঞ্জাবে ১টি করে জেলার মোট ৩০৩টি অঞ্চলের ৪৭,০০০ হেক্টরেরও বেশি ফসল জমিতে ধ্বংসলীলা চালিয়েছে পঙ্গপালের দল। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার বিশেষ মানের স্প্রে মেশিন ব্যবহার করছে এবং যোগাযোগ স্থাপেনর জন্য ১১টি কন্ট্রোল রুম স্থাপন করেছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন এবং রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী এবং কীটনাশক সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। সরকার কীটনাশক স্প্রে করার জন্য ড্রোন ব্যবহারের চিন্তাভাবনা করছে এবং সেইমতো টেন্ডার ডাকার আয়োজন করেছে।

পঙ্গপাল সতর্কতা সংস্থার সূত্রে খবর, এই পোকা শাক-সবজি, ফসল, ডালের মতো শস্যের মারাত্মকভাবে ক্ষতি করে। মরু পঙ্গপালের দল অবশ্য রবি শস্যের (শীতকালীন) ওপর প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি। তবে এদের বর্ষা নামার আগেই নির্মূল করার চেষ্টা করা হচ্ছে যাবে খারিফ শস্য বাঁচানো যায়। 

মধ্য প্রদেশে ফসলের আক্রমণ করার পরে বুধবার পঙ্গপালের ঝাঁক উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসি জেলায় পৌঁছেছে বলে খবর। এই অঞ্চলের অন্যান্য জেলাও সদাজাগ্রত। অন্যদিকে পঞ্জাবেও জারি করা হয়েছে উচ্চ সতর্কতা। প্রতিটি জেলায় কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে এবং কৃষকদের জানানো হয়েছে, তাঁরা যেন পঙ্গপালের ক্রিয়াকলাপের রিপোর্ট পাঠান। 

পঙ্গপাল মূলত ঘাস ফড়িং-এর একটা প্রজাতি বিশেষ। আপাত নিরীহ এই প্রাণীটি পরিবেশের পরিবর্তন যেমন ভারী বৃষ্টি বা সাইক্লোনের কারণে বিরাট মাত্রায় বংশবিস্তার করে। এদের ওড়ার ক্ষমতাও মারাত্মক এরা এক দিনে ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত যাত্রা করতে পারে। এদের ওজন ২ গ্রাম আর এরা নিজেদের সমপরিমাণ খাবার খেতে পারে।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.