পর্নোগ্রাফি দেখতে খুব ভালবাসেন কিম জং উন, খবর ফাঁস হয়ে যাওয়ায় অস্বস্তিতে উত্তর কোরিয়া



Odd বাংলা ডেস্ক: বিশ্বজুড়ে এক রহস্যের নাম উত্তর কোরিয়ার স্বৈরশাসক কিম জং উন। সবশেষ আলোচনায় এসেছেন প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে জনসম্মুখে না এসে। হার্ট অ্যাটাক অথবা করোনায় মারা গেছেন এমন গুজবও ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বজুড়ে। অবশেষে ১ মে জনসমক্ষে হাজির হয়ে একটি সার কারখানা উদ্বোধন করেন কিম। এরপর আবারো নিখোঁজ হয়েছেন। বর্তমানে ৩৬ বছর বয়সী কিম জং উন ২০১১ সালে তার বাবা এবং উত্তর কোরিয়ার সাবেক স্বৈরশাসক কিম জং ইলের মৃত্যুর পরে স্বৈরশাসক হিসাবেই দেশের শাসনভার হাতে নেন। নিজের বাবা এবং দাদার মতোই, কিম জং উনেরও দেশের জনজীবন সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট জ্ঞান নেই।  

শোনা যায় তিনি নাকি সাত-আট বছর ধরে সুইজারল্যান্ডে পড়াশোনা করেছেন। নিজের পরিচয় গোপন করে উত্তর কোরিয়া দূতাবাসের এক কর্মীর চালকের ছেলে পরিচয়েই সেখানে পড়াশোনা করেন কিম। ১৯৯০ এর দশকে সুইজারল্যান্ডের বার্নে একটি বোর্ডিং স্কুলে ভাইবোনদের সঙ্গে পড়তেন তিনি। পশ্চিমা ছেলেমেয়েরা তাদেরকে বিপথে নিয়ে যেতে পারে এমন আশঙ্কা থেকে কিম ও তার ভাইবোনদের দেশে ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দেন তাদের বাবা। কোরীয় গুপ্তচররা বিডিএসএম পর্নের প্রতি উনের ভালবাসার কথা তার বাবাকে জানানোর পর তিনি কিম জং-উনকে ব্যয়বহুল বেসরকারী স্কুল থেকে দেশে ফিরিয়ে আনার আদেশ দিয়েছিলেন। কিম জং-ইল তখনই তাকে দেশে ফেরত পাঠানোর আদেশ দিয়েছিলেন যখন, গুপ্তচররা তাকে জানায় যে তার ছেলের স্কুল ব্যাগে একটি কিনকি পর্ন ম্যাগাজিন পাওয়া গেছে। কিম জং-উন তার তিন ভাইবোনের সঙ্গে স্কুলে যোগ দিয়েছিলেন - যারা সকলেই উত্তর কোরিয়ার কূটনীতিকের সন্তান হিসাবে ভুয়া পরিচয়ে সেখানে বসবাস করেছিলেন। 

এখনকার ৩৬ বছর বয়সী স্বৈরশাসক কিম জং-উন পর্ন ম্যাগাজিনসহ গোয়েন্দাদের হাতে ধরা পড়ার পরে, চারটি বাচ্চাকেই দেশে ফিরতে আদেশ দেওয়া হয়েছিল। সূত্রগুলি বলেছে , বাচ্চাদের বাবা তাদের ছেলেমেয়েরা পশ্চিমের সহকর্মীদের দ্বারা বিপথগামী হচ্ছে বলে ক্রমশ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ছিলেন। পরীক্ষার আগে শিক্ষকরা নকল ঠেকাতে কিমের ব্যাগটি অনুসন্ধান করলে সেখানে ম্যাগাজিনগুলো পাওয়া যায়। কিম জং উনের হঠাৎ করে রহস্যজনকভাবে উধাও হয়ে যাওয়ার ঘটনার পরে এসব তথ্য সামনে এসেছে। কিম জং উনকে নিয়ে যখনই কোনও বিতর্ক দানা বাধে, তখনই তিনি কীভাবে যেন উধাও হয়ে যান। এর আগেও দেখা গেছে, ২০১৪ সালের প্রথম দিকে তিনি টানা ৪০ দিন গায়েব ছিলেন। এবারেও, ২০ দিন লোকচক্ষুর আড়ালে থাকার পরে হঠাৎ করেই আবার ফিরে এলেন তিনি।

 অথচ পরিস্থিতি এমন হয়েছিল যে কিম জং উন মারা গেছেন এ খবরটা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। সেই পরিস্থিতি থেকে হঠাৎ আবার উদয় তার। গত ১৫ এপ্রিল কিম জং উন নিজের দাদার জন্মদিনের অনুষ্ঠানেও অংশ নেননি। তারপরেই তার স্বাস্থ্যের বিষয়ে নানা খবর প্রকাশিত হতে থাকে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে। এমনকী, কেউ কেউ তো তিনি মারা গেছেন বলেও রিপোর্ট প্রকাশ করে ফেলে। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল বহাল তবিয়তেই আছেন কিম। তবে তিনি মাঝেমাঝেই কোথায় উধাও হয়ে যান আর কেনই বা যান, তা কিন্তু এখন পুরো বিশ্বের কাছেই একটা বড় রহস্য।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.