করোনার আবহে টান পড়বে না মাহেশের রথের রশিতে, ৬২৪ বছরে প্রথমবার স্থগিত মাহেশের রথযাত্রা!


Odd বাংলা ডেস্ক: নভেল করোনাভাইরাসের আবহে ৬২৪ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম। হুগলির মাহেশের শতাব্দী প্রাচীন এই উৎসবে এবার অন্য নিয়ম। বিরাট জনসমাগম করে এবার আর রথযাত্রার অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে না মাহেশে। তবে নিয়ম মেনে পুজো হবে। এমনটাই জানিয়ে দিল মন্দির ট্রাস্ট কমিটি। 

সারা দেশের মধ্যে পুরীর রথযাত্রার পরই নাম আসে মাহেশের রথযাত্রার। করোনা আবহে এবছর সেই রথযাত্রার উৎসব স্থগিত রাখা হবে। এদিন হুগলির জেলাশাসক, শ্রীরামপুর পুরসভার চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে এই সিদ্ধান্ত নেন মন্দির ট্রাস্ট কমিটি৷ মন্দির ট্রাস্ট কমিটি সূত্রে খবর, ঠিক করা হয়েছে যে, জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রাকে এবার রথে তোলা হবে না। পরিবর্তে পুজোর আচার হিসেবে নারায়ণ শীলাকে মাসির বাড়ি নিয়ে যাওয়া হবে। আর এজন্য মন্দিরের পিছনে একটি অস্থায়ী মাসির বাড়ি তৈরি করে সেখানে নিয়ে যাওয়া হবে জগন্নাথ, বলরাম, ও সুভদ্রাকে। আগামী ৫ জুন স্নানযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে মন্দিরের বারান্দায়। ২৩ জুন রথযাত্রা। সেই উপলক্ষে জনসমাবেশ এড়াতেই এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। 

প্রসঙ্গত, অন্যান্য বছরে রথযাত্রার দিন বিকেলবেলা স্নানপিড়ি ময়দানের সামনে থেকে জিটি রোড ধরে প্রায় ১ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে মাসিরবাড়ির মন্দিরে পৌঁছায় রথ। সেইসঙ্গে লক্ষাধিক দর্শনার্থীদের উপস্থিতিতে প্রায় ২ ঘণ্টার বেশি সময় লেগে যায় মাসিরবাড়ি যেতে। এর ৮ দিন পর উল্টোরথের দিন ওই পথেই রথ স্নানপিড়ি ময়দানে ফিরে আসে। উল্টোরথে দর্শনার্থীদের সংখ্যা হয় আরও বেশি। যার ফলে রথ ফিরিয়ে আনতে সন্ধে সাড়ে ৬টা বেজে যায় প্রায়।

প্রসঙ্গত ,মাহেশের রথযাত্রা ১৩৯৬ খ্রিস্টাব্দ থেকে পশ্চিমবঙ্গের শ্রীরামপুর শহরের মাহেশে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। সুপ্রাচীন এই ঐতিহ্যপূর্ণ উৎসব বাংলা ও বাঙালির খুবই কাছের। রথযাত্রার সময় মাহেশের স্নানপিড়ি ময়দানে প্রায় এক মাস ধরে চলে মেলা। শ্রীরামপুরের মাহেশ জগন্নাথ দেবের মূল মন্দির থেকে মাহেশ গুন্ডিচা মন্দির (মাসীরবাড়ী) অবধি জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার যে রথ টেনে নিয়ে যাওয়া হয় উচ্চতা হয়ে থাকে প্রায় ৫০ ফুট। করোনা আবহে সেইসব অনুষ্ঠান স্থগিত রাখা হল।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.