সংক্রমণ বাড়ছে ক্রমশ, তবু খুলে দেওয়া হচ্ছে রাজ্যের সমস্ত মন্দির, মসজিদ, গির্জা



Odd বাংলা ডেস্ক: করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ গোটা দেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পশ্চিমবঙ্গেও লাগাতার বেড়ে চলেছে। এই অবস্থায় রাজ্যের কোভিড- ১৯ সংক্রমণকে রুখতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার উপর ফের একবার জোর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনার বদলে মানুষের জীবন বদলে যাচ্ছে বলে মনে করছেন মুখ্যমন্ত্রী। করোনা ভাইরাসকে শতাব্দীর সবচেয়ে বড় বিপর্যয় বলে আখ্যা দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এই রোগ থেকে বাঁচতে সকলকে কড়া নিয়ম এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। অনেক জায়গাতেই মানুষ নিয়ম মানছেন না, তাই করোনা দ্রুত ছড়াচ্ছে। তাই ৬-৮ ফুট সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা আবশ্যিক। রাজ্যের সব মানুষকেই এটা মেনে চলতে হবে বলে কড়া ভাষায় জানান মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে মাস্ক স্যানিটাইজেশন এবং হাত ধোয়া আবশ্যিক বলে জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যাবতীয় সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে বলেও জানান তিনি। এদিকে ১ জুন থেকে রাজ্য অনেকটাই স্বাভাবিক ছন্দে হাঁটবে বলেই উল্লেখ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই দিন থেকেই রাজ্যের সমস্ত চা এবং জুট শিল্প খুলে যাচ্ছে বলেই ঘোষণা করেন তিনি। পাশাপাশি আগামী ১০ জুন থেকে রাজ্যের সমস্ত অফিস পুরোদমে খুলে যাবে বলেও ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। ওদিকে ১ জুন সকাল ১০ টা থেকেই রাজ্যের সমস্ত মন্দির-মসজিদ-গির্জা খোলার অনুমতি দেওয়া হবে বলেও ঘোষণা করেন তিনি। তবে কোনও ধর্মস্থানেই একসঙ্গে ১০ জনের বেশি মানুষ সেখানে ঢুকতে পারবেন না বলেও পরিষ্কার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। শুক্রবারের সাংবাদিক সম্মেলনে ফের একবার পরিযায়ী শ্রমিক ইস্যুতে মুখ খুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেভাবে ভিনরাজ্য থেকে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে প্রয়োজনীয় সামাজিক দূরত্ব না বজায় রেখেই পরিযায়ীদের ফেরানো হচ্ছে তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। কটাক্ষ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "শ্রমিক স্পেশালের নামে আসলে করোনা স্পেশাল ট্রেন চালানো হচ্ছে"।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.