ভূমিকম্প, বন্যা নয়, পৃথিবী শেষ হবে ভাইরাসেই, মহেঞ্জোদারো তারই প্রমাণ, দাবি নৃতত্ত্ববিদদের



Odd বাংলা ডেস্ক: চার হাজার বছর আগে সিন্ধু নদের ধারে গড়ে উঠেছিল সিন্ধু সভ্যতা, যাকে হরপ্পা সভ্যতাও বলা হয়। মিশর সভ্যতা, মেসোপটেমিয়া সভ্যতার পাশাপাশি সিন্ধু সভ্যতাই ছিল বিশ্বের প্রাচীনতম সভ্যতার অন্যতম। অধুনা ভারতের গুজরাত, রাজস্থান, পঞ্জাব, কাশ্মীর, উত্তরপ্রদেশ এবং অধুনা পাকিস্তানের সিন্দ, পঞ্জাব এবং বালুচিস্তান প্রদেশে এই সভ্যতার বিস্তৃতি ছিল। প্রাচীন সভ্যতা হলেও, সব কিছুতেই ছিল আধুনিকতার ছাপ। হরপ্পা, মহেঞ্জোদারোতে খনন কাজ চালিয়ে যে জিনিসপত্র উদ্ধার হয়েছে, তা দেখে বোঝা গিয়েছে, অত্যন্ত সুন্দর পরিকল্পনামাফিক গড়ে উঠেছিল এই সভ্যতার শহরগুলি। অসাধারণ সুন্দর ভাবে তৈরি করা হয়েছিল বাড়িগুলি। সেই সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যেও অন্য সব সভ্যতাকে ছাপিয়ে গিয়েছিল এই সিন্ধু সভ্যতা। ইতিহাস বইতে আমরা পড়েছি যে নিকাশি ব্যবস্থা কতটা আধুনিক ছিল এখানে। রাস্তার ধারে নালা ছিল ঢাকা। শৌচাগারে ফ্লাশের ব্যবস্থা থাকত। খ্রিস্টপূর্ব ৩৩০০ থেকে সিন্ধু সভ্যতার উত্থান। খ্রিস্টপূর্ব ১৩০০-এ সভ্যতার পতন ঘটে। কিন্তু গবেষকরা জানিয়েছেন খ্রিস্টপূর্ব ১৯০০ থেকেই জনসংখ্যা কমতে শুরু করে। হরপ্পা, মহেঞ্জোদারো এবং বাকি শহরগুলির বাসিন্দারা ক্রমে পূর্বে সরতে শুরু করে। হিমালয়ের পাদদেশেও সরে যেতে থাকেন অনেকে। খ্রিস্টপূর্ব ১৮০০-এ সভ্যতার সব শহরই কার্যত ফাঁকা হয়ে যায়।

কিন্তু কেন সবাই পরিত্যাগ করলেন এই মহেঞ্জোদারোকে? 



ঐতিহাসিকরা কী বলছেন:

করোনা ভাইরাসের সংক্রণমণ শুরু হওয়ার পর হিস্ট্রি টিভি একটি তথ্যচিত্র তৈরি করেছে। তাতে তারা দেখিয়েছে যে করোনা প্রথম মহামারি নয় পৃথিবীর বুকে এমন অনেক মহামারিই এসেছে। আর সেই সঙ্গে ধ্বংস হয়ে গিয়েছে নানান সভ্যতা। মহেঞ্জোদারোতে এমনই কোনও ভাইরাসের প্রকোপ দেখা দিয়েছিল। আর সে কারণেই তখন শহরের পর শহর ধ্বংস হয়ে যায়। সেই ভয় পেয়ে বাসিন্দারা এই এলাকা ছেড়ে চলে যায়। এবং শহর ছেড়ে বেরিয়েছিলেন খুব কম সংখ্যক মানুষ। বাকিরা এখানেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। ঠিক এখন যেমন পৃথিবী জুড়ে হচ্ছে। ফলে নৃতত্ত্ববীদরা মনে করছেন যদি পৃথিবী শেষ হয় তবে এমন কোনও মহামারিতেই শেষ হবে। 
Blogger দ্বারা পরিচালিত.