৭৬ বছর জল-খাবার না খেয়ে হাওয়ায় ভর করে বেঁচেছিলেন, ৯০ বছরে প্রয়াত 'চুনরিওয়ালা মাতাজি'


Odd বাংলা ডেস্ক: প্রহ্লাদ জানি ওরফে চুনরিওয়ালা মাতাজি নামে এক যোগী, যিনি তাঁর অপার কৃতিত্বের জন্য বিখ্যাত হয়েছিলেন সারা দেশে। কী সেই কৃতিত্ব? তাঁর শিষ্যদের কথায়, প্রায় ৭৬ বছর খাদ্য এবং জল ছাড়াই বেঁচেছিলেন তিনি। কিন্তু মঙ্গলবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন চুনরিওয়ালা মাতাজি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭০ বছর।  

মঙ্গলবার প্রহ্লাদ জানি তাঁর নিজ গ্রাম গুজরাটের চারদাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন। জানা যায় গুজরাটে তাঁর অনুরাগীর সংখ্যা অসংখ্য। ২০০৩ এবং ২০১০ সালে বিজ্ঞানীরা তাঁর ওপর পরীক্ষা চালিয়ে বলেছিলেন যে, তিনি কোনওরকম খাবার এমনকি জলও পান করেন না। তিনি দাবী করতেন যে, তাঁর খাবার বা জলের প্রয়োজন নেই কারণ দেবীই তাঁকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। এদিন তাঁর মৃত্যুর পর জানির মরদেহ বনশকান্থ জেলার অম্বাজি মন্দিরের নিকটে অবস্থিত তাঁর আশ্রম তথা গুহায় নিয়ে যাওয়া হয়।

তাঁর শিষ্যরা একটি বিবৃতি দিয়ে জানান, নিজের জন্মস্থানে কিছুটা সময় কাটানোর ইচ্ছা প্রকাশ করায় দিন কয়েক আগে মাতাজিকে  চরদায় স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। মঙ্গলবার ভোরে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর ভক্তরা যাতে তাঁরে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারেন, এরজন্য তাঁর দেহ দু'দিন তাঁর আশ্রমে রাখা হবে। তারপর তাঁকে সমাধিস্থ করা হবে।

দেবী অম্বার একজন ভক্ত হওয়ায় তিনি সর্বদা লাল শাড়ি (চুনরি) পরে থাকতেন এবং একজন নারীর মতো পোশাক পরতেন বলেই তিনি 'চুনরিওয়ালা মাতাজি' নামে পরিচিত ছিলেন। 'আধ্যাত্মিক জগতে' প্রবেশ করার বাসনা নিয়ে খুব কম বয়সেই বাবা-মা-তে ত্যাগ করে ঘর ছেড়েছিলেন তিনি। তাঁর অনুগামীরা দাবি করেন যে, তিনি মাত্র ১৪ বছর বয়স থেকেই খাবার এবং জল খাওয়া বন্ধ করেছিলেন। আর খুব অল্প বয়সেই অম্বাজি মন্দিরের নিকটে একটি ছোট গুহা তৈরি করেছিলেন এবং পরবর্তীতে যোগী হিসাবে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন। যতদিন বেঁচে ছিলেন কেবলমাত্র বাতাসে ওপর ভর করেই বেঁচেছিলেন তিনি। 
Blogger দ্বারা পরিচালিত.