'পা-দুটো আর চলছে না, যদি এক জোড়া চপ্পল পাওয়া যেত..', শ্রমিকের পায়ের জুতো যোগাচ্ছেন পুলিশ


Odd বাংলা ডেস্ক: সারা দেশজুড়ে পরিযায়ী শ্রমিকরা নিজেদের ঘরে ফেরার জন্য একটা নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কেউ ট্রাকে চেপে, কেউ সাইকেলে আর একটি বিরাট সংখ্যর শ্রমিকরা রাজ্যের সীমানা পেরোচ্ছেন কেবল দু'পায়ের ওপর ভর করেই। পায়ে হেঁটে মাইলের পর মাইল পথ পেরোচ্ছেন শ্রমিক ভাইয়েরা। 

কিন্তু খালি পায়ে কি আর এই রোদে তেতে যাওয়া পথ পেরোনো যায়! পায়ে অসহ্য যন্ত্রণার পাশাপাশি পা ফেটে চুইয়ে পড়া রক্ত জানান দেয়, খালি পায়ে ঘরে ফেরা যায় না। গোরক্ষপুরের এক পরিযায়ী শ্রমিক তাই পুলিশের কাছে কাতর মিনতি করে জানান, 'যদি একজোড়া পুরনো চপ্পল পাওয়া যেত বাবু....' 

গোরক্ষপুরের পিপরাচাইয়ের বাসিন্দা ওই পরিযায়ী শ্রমিক সুরাটের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করত। বাকি পরিযায়ী শ্রমিকদের মতো 'শ্রমিক স্পেশাল' ট্রেনে চড়ার সুযোগে হয়নি তাঁর। নিজের নাম নথিভুক্ত করার পর এক সপ্তাহ অপেক্ষাও করেছিল সে, কিন্তু মেলেনি সুযোগ। আর সেই কারণেই কয়েকশো কিলোমিটার পায়ে হেঁটেই উত্তরপ্রদেশে নিজের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল সে। কিন্তু দীর্ঘ পথ পেরোনোর পর ছিঁড়ে যায় চপ্পল জোড়া ছিঁড়ে যায়, পায়ে মারাত্মক ফোসকা, রক্তক্ষরণকে সঙ্গী করেই পথ পেরিয়েছে সে। 

একদল পুলিশকে দেখা গেল পায়ে হেঁটে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের বিস্কুট এবং জলের বোতলের পাশাপাশি যাঁরা পায়ে হেঁটে ফিরছিলেন তাদের চপ্পল সরবরাহ করতে। লকডাউনে চাকরি চলে গিয়েছে, মেলেনি পাওয়া টাকা, ফুরিয়ে এসেছে সঞ্চিত অর্থও। তাই বাধ্য হয়েই পায়ে হেঁটে ঘরে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের হাতে বিস্কুট প্যাকেট, জলের বোতল এবং চপ্পল সরবরাহ করতে দেখা গেল হাইওয়েতে কর্তব্যরত একদল পুলিশকে। 
Blogger দ্বারা পরিচালিত.