আর্থিক প্রতিবন্ধকতা ও জুনিয়ার আর্টিস্টের অভাবে রামায়ণে একাধিক চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন একা এই অভিনেতা


Odd বাংলা ডেস্ক: তিন দশক পর দেশব্যাপী লকাউনের জেরে ছোটপর্দায় ফিরে এসেছে ১৯৮০-র দশকের কালজয়ী ধারাবাহিক রামায়ণ। দুরদর্শনে সম্প্রচারিত হওয়ার পর এটি সমস্ত রের্কর্ড ভেঙে দিয়েছে। যার ফলে স্টার প্লাসে পুনরায় সম্প্রচার করা হচ্ছে জনপ্রিয় এই ধারাবাহিকটি। একটু মন দিয়ে দেখলে বুঝতে পারবেন এই ধারাবাহিকে একই ব্যক্তি একাধিক চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তেমনই একজন অভিনেতা হলেন আসলাম খান।

সম্প্রতি একটি অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে রামায়ণের পরিচালক রামানন্দ সাগরের পুত্র প্রেম সাগর এই বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন, তিনি জানিয়েছেন যে, কেন একই অভিনেতাকে দিয়ে একাধিক চরিত্রে অভিনয় করানো হয়েছিল। ধারাবাহিকে অভিনেতা আসলাম খান একাধারে একজন মুনিঋষি, নিষাদ রাজ কেবতের বাহিনির এক যোদ্ধা, একজন স্তুতি গায়ক এবং সমুদ্র দেবতার ভুমিকায় অভিনয় করেছিলেন। এ প্রসঙ্গে প্রেম সাগর বলেন, অর্থনৈতিক প্রতিবন্ধকতা ছিল একটা বড় কারণ। তিনি বলেন, সেইসময় রামায়ণে এমন কিছু অভিনেতা অভিনয় করতেন যাঁরা, মাসিক অর্থের ভিত্তিতে কাজ করতেন, তাঁরা প্রতি পর্বে অভিনয়ের জন্য টাকা পেতেন না। মাসিক টাকা পেতেন এমন ১০-১৫ জন আর্টিস্ট তাঁরা রেখেছিলেন। এমনকি শ্রী কৃষ্ণ ধারাবাহিকেও চানুদ এবং নন্দ-এর চরিত্রে একজন অভিনেতাই অভিনয় করেছিলেন। 


তিনি আরও বলেন যে, সেই সময়ে জুনিয়ার আর্টিস্ট পাওয়াটা একটা কঠিন কাজ ছিল। জুনিয়ার আর্টিস্ট পেতে তাঁদের খুবই সমস্যা হয়েছিল। তাছাড়া রামায়ণের আগে টেলিভিশনে কেউ কোনও পৌরাণিক অনুষ্ঠান তৈরি করেননি। যার ফলে এ ধারণাও এর আগে কারওরই ছিল না। 

আর সবথেকে মজার কথা, যা শুনলে আপনারাও অবাক হবেন যে, রামায়ণের শুটিং-এর জন্য প্রচুর ভিড় প্রয়োজন ছিল, কিন্তু অত লোক পাওয়া সম্ভবপর ছিল না বলে, প্রোডাকশনের লোক যেতেন ঢ্যাঁড়া পেটাতে। তাঁরা ঘোষণা করতেন, 'আগামীকাল আমাদের শুটিং আছে। যারা যারা আসবেন তাঁরা সবাই বিনামুল্যে খাবার আর ১০ টাকা করে পাবেন।' আর এইভাবেই তাঁরা কোনও দৃশ্যে লোকের ভিড় তৈরি করতেন। 
Blogger দ্বারা পরিচালিত.