৯ বছরের মেয়ের যোনিতে চিরুনি প্রবেশ, করোনার কারণে ছাড়া পেয়ে গেল ধর্ষক
Odd বাংলা ডেস্ক: একজন বিপজ্জনক সিরিয়াল যৌন অপরাধীকে কারাগার থেকে মুক্তির একদিন পরেই মুক্তভাবে চলাচলের অনুমতি দিয়েছেন পশ্চিম Australia-র সুপ্রিম কোর্ট।
নাইজেল ইয়েটস নামের ওই অপরাধী কারাগারের আড়ালে তার প্রাপ্তবয়স্ক জীবনের বেশিরভাগ সময় অতিবাহিত করেছে। ২০১৪ সালে তাকে তিনজন মহিলার উপর যৌন সহিংসতা চালানোর অভিযোগে অপরাধী হিসাবে সাব্যস্ত করা হয়েছিল। যাদের মধ্যে দু'জন ছিলেন কিশোরী। তাদের মধ্যে ৯ বছরের একটি মেয়েকে ধর্ষণের পরে তার যোনিতে চিরুনি ঢুকিয়ে এই ভয়ঙ্কর সিরিয়াল যৌন অপরাধী। এই অপরাধগুলো কালগোরিলি এবং লাভার্টনে নয় বছরের সময়কালে সংগঠিত হয়েছিল।
ফলস্বরূপ ইয়েটসকে এপ্রিল ২০১৪ সালে প্রথমবারের মতো দোষী সাব্যস্ত করে আটকাদেশ দেয়া হয়েছিল। সেই আদেশে ইয়েটসকে অনির্দিষ্টকালের জন্য হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এর একবছর পরেই তাকে তদারকিতে রাখার শর্তে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। তবে মুক্তি দুই মাসের মধ্যে ৪৬ বছর বয়সী ইয়েটস ফের যৌন অপরাধে জড়িয়ে পড়ে। ইয়েটস ২০১৮ সালে কারাগারে ফেরার আগে আরো দু'বার আদেশ লঙ্ঘন করেছিল।
গত বছরের মার্চ মাসে তাকে আরেকটি অব্যাহত আটকের আদেশে দেয় আদালত। তবে গত সপ্তাহে পশ্চিম Australia-র সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি পিটার কুইনলান ইয়েটসকে কারা হেফাজত থেকে মুক্তি দিয়েছিলেন। যাকে "কঠিন সিদ্ধান্ত" হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছিল আদালতের আদেশে।
বিচারপতি কুইনলান বলছিলেন, 'আইনের অধীনে আমার তদারকি আদেশে মুক্তি দেওয়ার অনুমতি নেই। আমি যদি মনে করি আপনি তদারকি আদেশের শর্তগুলো মেনে চলবেন তাহলে জামিন আদেশে বাধা নেই। এর মধ্যে রয়েছে যে আপনি কোনো যৌন অপরাধ করবেন না।
আমার সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময়, আমাকেও নিশ্চিত করতে হবে যে সম্প্রদায়টি সঠিকভাবে আইন দ্বারা সুরক্ষিত রয়েছে।'
বিচারক বলেছিলেন যে, ইয়েটস এর আগে তদারকি আদেশের লঙ্ঘন করলেও যৌন অপরাধে জড়িত ছিল না। বরং ইয়েটস ড্রাগ বা অ্যালকোহল ব্যবহার করে ধরা পড়েছিল। জনগণের সুরক্ষার সর্বোত্তম উপায় হল মাদক এবং অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকা।
Post a Comment