ক্ষুধার জ্বালায় খাবার চুরি অপরাধ নয় – ঐতিহাসিক রায় দিল সর্বোচ্চ আদালত




Odd বাংলা ডেস্ক:  করো’নার ধা’ক্কায় টালমাটাল ইতালি। এই ভাই’রাসে সং’ক্রমিত দেশগুলির মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে শতাব্দি প্রাচীন এই দেশ। চীনের পর ইউরোপের এই দেশেই অ’তিমা’রীর আকারে ছড়িয়ে পড়েছিল এই মা’রণ ভাই’রাস। এখন‌ পরিস্থিতি আগের তুলনায় কিছুটা ঠিক হলেও সং’ক্রমণকে নিয়ন্ত্রণে এখন‌ও আনা যায়নি। ইতালিতে করো’না সংক্র’মণের শিকার ২ লক্ষ ১৫ হাজারেরও বেশি মানুষ। করো’না আ’ক্রান্ত হয়ে মা’রা গিয়েছেন প্রায় ৩০ হাজার মানুষ। আর করো’না সংক্র’মনে বিধ্বস্ত এই দেশেই এবার এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিল ইতালির সর্বোচ্চ আদালত। প্রাণের মূল্য অন্য সবকিছুর চেয়ে বেশি, এমনকি সেটা চোরের প্রাণ হলেও। প্রাণ বাঁচানোর জন্য ধর্মমতে মিথ্যাও বলা যায়।

এবার জীবন বাঁচানোর জন্য চু’রির পক্ষেই রায় দিলেন আ’দালত। শুধু তাই নয়- ‘ক্ষুধা নিবারণের জন্য খাদ্য চু’রি অপ’রাধ নয়’ বলে ফরমান পর্যন্ত জারি করেছেন ইতালির আ’দালত। রোমান অস্ট্রিয়াকভ নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে দায়ের করা ৪.৫০ ডলার সমমূল্যের খাবার চু’রির মা’মলা খারিজ করে দেন আ’দালত। এ সময় আ’দালত লিখেছেন, ‘জীবনের প্রয়োজনে তীব্র ক্ষুধার্ত অবস্থায় সামান্য পরিমাণ খাদ্য চু’রির ঘটনা কোনো অপ’রাধ নয়।’ আ’দালতের এ রায়কে ঐতিহাসিক এবং উপযুক্ত রায় বলে অভিহিত করেছে ইতালির গণমাধ্যম গুলো।

ইতালিয়ান পত্রিকা লাস্তামপার বরাত দিয়ে বিবিসি বলেছে, ‘মানবিকতার প্রতি ইতালির সর্বোচ্চ আ’দালতের এ রায় থেকে পশ্চিমারাও শিক্ষা নিতে পারে।’ ২০১১ সাল থেকে চলমান এ মামলাটি তিনদফা বিচারের জন্য সুপ্রিমকোর্টে গেলে একে ‘লজ্জাজনক’ বলে অভিহিত করেন আ’দালত। এরপর অভিযু’ক্তকে জে’ল-জ’রিমানা ছাড়াই দায়মুক্তি দিয়ে রায় দেওয়া হয়। ২০১৫ সালের এক রায়ে রোমানকে ‘এক দোকান থেকে ২ টুকরো পনির ও এক প্যাকেট সস চুরির দায়ে’ ৬ মাসের কা’রাদ’ণ্ড ঘোষণা করা হয়েছিল।

কিন্তু চূড়ান্ত রায়ে সুপ্রিমকোর্ট জানান, ‘সম্পক্তির চেয়ে ব্যক্তির অস্তিত্ব রক্ষার মূল্য বেশি। জীবনের প্রয়োজনে এ সামান্য ঘটনাকে অপ’রাধ হিসেবে গণ্য করা উচিত নয়।’ এদিকে ইতালিতে প্রতিদিন ৬১৫ জন করে দরিদ্রের তালিকায় নতুন যুক্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছে ইতালি ভিত্তিক অনলাইন ইতালিয়াগ্লোবাল ডটকম। সামাজিক অর্থনীতি বিপ’র্যয়ের মুখে আ’দালতের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে দেশটির আ’ইনশৃং’খলা বাহিনী।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.