পরকীয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষিকাকে বিয়ে তারই বিভাগের ছাত্রের!
Odd বাংলা ডেস্ক: বাংলাদেশের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকাকে বিয়ে করেছেন একই বিভাগের ছাত্র। এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে তোলপাড় শুরু হয়েছে। বিয়ে করে তারা লাপাত্তা হয়ে আছেন। ওই শিক্ষিকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুপস্থিত আছেন। ছাত্রও আত্মগোপনে রয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে তারা পালিয়ে বিয়ে করেছেন। কোর্ট ম্যারেজের মাধ্যমে তারা ওই বন্ধনে আবদ্দ হয়েছেন। এসংক্রান্ত বিবাহের হলফনামা ক্যাম্পাসলাইভের কাছে সংরক্ষিত আছে। ওই হলফনামায় দেখা যায় তারা ৫ মে বিবাবহবন্ধনে আবদ্দ হয়েছেন গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিক্যুলার বায়োলজি বিভাগের ছাত্র নাফিসুর রহমান ও একই বিভাগের মাহবুবা খাতুন। দেনমোহরানা ধার্য করা হয়েছে ৫ লাখ টাকা। মাহবুবা খাতুন বিবাহিত হওয়ায় অসম ওই বিয়ে নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
হলফনামায় তারা উল্লেখ করেছেন, আমরা উভয়েই ভবিষ্যৎ ভালোমন্দ বোঝার জ্ঞানসম্পন্ন… আমরা ঘণিষ্ট হওয়ার সুবাদে দীর্ঘদিন যাবৎ একে অপরকে চিনি, নৈতিক গুণাবলি সম্পর্কে জানি। আমাদের ওই চেনা-জানার ফলে, একত্রে কথা-বার্তা, চলাফেরা, আচার-ব্যাবহার ও সৎ গুণাবলিতে মুগ্ধ হয়ে একে অপরকে গভীরভাবে ভালোবেসে ফেলি। বর্তমানে আমাদের ওই ভালোবাসা এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, একজন অন্যজনকে ছাড়া এক মুহূর্তও থাকতে পারি না। তাই আমরা যৌথভাবে ওই ভালোবাসার পবিত্র রূপ দিতে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার
সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
হলফনামায় আরো লিখা রয়েছে, আমরা গভীরভাবে চিন্তা-ভাবনা করে দেখলাম আমাদের উভয়পক্ষের আত্মীয়স্বজন সম্মত না হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। যাতে আমাদের উভয়ের জীবন ব্যর্থতায় পর্যবসিত ও ধ্বংস হতে পারে।
উপরোক্ত কারণে তারা কোর্ট ম্যারেজের মাধ্যমে ওই বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন বলে হলফনামায় উল্লেখ করেছেন তারা।
হলফনামা অনুযায়ী গণবিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রের বাড়ি রাজশাহীর তানোরে। এবং ওই শিক্ষিকার বাড়ি রাজশাহী শহরে।
এদিকে গত ১৯ মে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে ওই ছাত্রের ফেসবুক প্রোফাইলে “গট ম্যারিড” পোস্ট আসে। তখনই তার সহপাঠীমহলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। সোমবার (২১ মে) ওই শিক্ষিকা তার কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন। এরপর তার ব্যক্তিগত মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। একইভাবে ওই ছাত্রও আছেন আত্মগোপনে।
ওই শিক্ষিকার সহকর্মীরা জানান, রাজশাহীর মেয়ে ওই শিক্ষিকা সাভারে অস্থায়ী ভাড়া বাসায় থাকতেন। তার আট বছর বয়সী একটি ছেলে-সন্তান রয়েছে। ওই ছাত্রের গ্রামের বাড়ি রাজশাহীর তানোরে। তিনি গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স ৩য় বর্ষে (৫ম সেমিস্টার) পড়াশোনা করেন।
Post a Comment