২০০৪ সালে এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম রাখা হয় 'আম্ফান', জানেন, কে করেছিল নামকরণ?


Odd বাংলা ডেস্ক: ২০২০ সালের প্রথম ঘূর্ণিঝড় আম্ফান, যা বর্তমানে বঙ্গোপসাগরের উপর অবস্থান করছে। সোমবার ভোরেই মৌসম ভবনের তরফে দেওয়া পূর্বাভাস অনুসারে এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব বেশ মারাত্মক হবে বলেই আশা করা যাচ্ছে। আবহাওয়া দফতরের তরফে পূর্বাভাস জারি করে বলা হয়েছে, আগামী ১৯ মে অত্যন্ত ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ১৭০-১৮০ কিলোমিটার। কিন্তু জানেন কি এই ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা হয়েছিল আজ থেকে ১৬ বছর আগে ২০০৪ সালে। 

যেকোনও মহাসাগরের ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়ের নামের তালিকা প্রকাশ করার একটি বিশেষ পদ্ধতি রয়েছে। ২০০৪ সালে ৮ টি দেশে ৬৪টি ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করেছিল, আর আম্ফান হল সেই তালিকার শেষ নাম। 
বর্তমানে আরও একটি নতুন তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে যেখানে ১৩টি দেশ ১৬৯টি ঘূর্ণিঝড়ের নাম দিয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস করার ক্ষেত্রে ভারতের মৌসম ভবনের কাজ সর্বজন স্বীকৃত। 

তবে সাইক্লোনের নামকরণের ক্ষেত্রে যে যে নিয়মগুলি মেনে চলা আবশ্যিক, সেগুলি হল-
  • প্রস্তাবিত নামগুলি রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তি, ধর্মীয় ভাবনা, বিশেষ সংস্কৃতি, অথবা লিঙ্গ নিরপেক্ষ হবে।
  • এমনভাবে নাম বাছতে হবে যাতে পৃথিবীর কোনও জনগোষ্ঠী বা সমষ্টির ভাবনা আঘাতপ্রাপ্ত না হয়।
  • নামের মধ্যে রুক্ষতা বা নির্মমতা প্রকাশ পেলে চলবে না
  • নাম হবে এমন যা সংক্ষিপ্ত, সহজে উচ্চারণ করা যায় এমন, এবং সকল সদস্য দেশের কাছে গ্রহণযোগ্য।
  • নামের সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য আট অক্ষরের বেশি হবে না।
  • প্রস্তাবিত নামের সঙ্গেতার উচ্চারণের নির্দেশিকা এবং ভয়েস ওভার দিতে হবে।
  • ভারত মহাসাগর অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়ের নামের পুনরাবৃত্তি হবে না। একবার ব্যবহার করলে আর ব্যবহার করা যাবে না।

কেন এই ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করাটা জরুরি?
কোনও নম্বর বা পরিভাষা ব্যবহার করার বদলে ঘূর্ণিঝড়ের নাম রাখলে সাধারণ মানুষ তা যেমন সহজে মনে রাখতে পারে, তেমনই বিজ্ঞানী, সংবাদমাধ্যম, বিপর্যয় মোকাবিলা দলের পক্ষেও বিষয়টি ব্যাখ্যা করা সুবিধাজনক হয়। নির্দিষ্ট নাম ব্যবহার করলে ঘূর্ণিঝড়ের বর্তমান অবস্থান এবং তার তীব্রতা নির্ধারণ করা যায় এবং দ্রুত সতর্কীকরণ ছড়িয়ে দেওয়া যায়া। পাশাপাশি একই অঞ্চলে একাধিক ঘূর্ণিঝড় হলে তাতে বিভ্রান্তিও দূর হয়।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.