লাদেনের বুকের শেষ গুলিটি তার, স্মৃতিচারণে সেই রাত!



Odd বাংলা ডেস্ক: ২০১১ সালের ১ মে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ অপারেশন টিম 'নেভী সিল' সদস্যদের অতর্কিত আক্রমণে নিহত হন আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদার প্রধান উসামা বিন লাদেন। তার মৃত্যুর পর কেটে গেছে নয় বছর। তবে বিশ্বের স্বচেয়ে আকাঙ্খিত এই জঙ্গি নেতার মৃত্যু নিয়ে প্রায়ই বিভিন্ন রকম তথ্য উঠে আসে। এবার লাদেনের মৃত্যু নিয়ে মন্তব্য করলেন নেভি সিলের এক প্রাক্তন কর্মী। যিনি লাদেনের বুকে সরাসরি গুলি চালিয়েছিলেন। ওই সদস্যে দাবি, উসামা বিন লাদেনকে এমন ভাবে মারা হয়েছিল যাতে তাকে চেনা যায়নি। গুলিতে ঝাঁঝরা করার পর লাদেনের ছিন্নভিন্ন মাথা কুড়িয়ে এক জায়গায় এনে জড়ো করে জোড়া দিতে হয়েছিল। এমনই দাবি করেছেন নেভি সিলের প্রাক্তন কর্মী রবার্ট ও'নীল। 

 'দ্য ম্যান হু কিলড উসামা বিন লাদেন' প্রামাণ্য চিত্রের সাবেক ওই নেভী সিল সদস্য ফক্স নিউজের পিটার ডুসিকে দেওয়া এক একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন যে কিভাবে তার দল প্রশিক্ষণ নিয়েছিল এবং সবচেয়ে মারাত্মক ও বিপজ্জনক সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছিল সেই তথ্য। আমেরিকান ইতিহাসে এটাই সবচেয়ে জটিল মিশন ছিল জানিয়ে নীল ফক্সনিউজকে বলেন, মিশনটি দু'ভাগে বিভক্ত ছিল। কয়েক সপ্তাহের প্রশিক্ষণ শেষে রাতের আঁধারে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে বিমানের ৮২ মিনিটের এই অভিযানে আমিও ছিলাম। আমাদের টার্গেট ছিল লাদেনকে মেরে ফেলব। এটি একটি দায়িত্ব ছিল জানিয়ে ও'নীল ধরে নিয়েছিলেন যে তিনি আর বেঁচে ফিরতে পারবেন না।


কারণ এটা ছিল অনেকটা 'একমূখী মিশন' তার দাবি, তিনি একাই প্রাক্তন আল কায়দা প্রধানকে তিনটি গুলি করেছেন। তার কথায়, 'অন্য পাঁচ–ছ জন সিল সদস্যের সঙ্গে গুলি করতে করতে সিঁড়ি দিয়ে উঠছিলেন। এমন সময় তিনতলায় গিয়ে দেখেন লাদেনের ছেলে খালিদ একে–৪৭ নিয়ে বেরিয়ে আসছে। খালেদকে আগেই টাকা দিয়ে বশ করেছিল মার্কিন গোয়েন্দারা। তাকে ভিতর থেকে কেউ বলছে, ‘‌খালেদ, ভিতরে এস।’‌ আর খালেদ চিৎকার বলে, ‘‌মানে?‌’‌ আর তা থেকেই সিলের কাছে পরিষ্কার হয়ে যায় লাদেন কোথায় রয়েছে। সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠে ঘরের তল্লাশি শুরু করি। দেখি এক মহিলার কাঁধে ভর রেখে দাঁড়িয়ে লাদেন। সেকেন্ডের মধ্যে দু’‌বার ট্রিগার টিপি। পরেরটি মাথা লক্ষ্য করে। মাথা গুঁড়িয়ে চারদিকে ছড়িয়ে যায় বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী লাদেনের।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.