যেসব কোম্পানির সিগারেটে ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি
Odd বাংলা ডেস্ক: সিগারেট ক্ষতিকর জানা সত্বেও, সরকার সিগারেট কোম্পানীগুলিকে বন্ধ করে দেয় না। এর অবশ্য একাধিক কারণ রয়েছে।প্রথমত, সিগারেট বিক্রির মাধ্যমে সরকারের বিশাল পরিমাণ রাজস্ব আয় হয়। কোম্পানী বন্ধ করে দিলে, সরকারী কোষাগারে, তার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
দ্বিতীয়ত, নেশাকে যাঁরা ব্যক্তিগত অধিকার বলে বিবেচনা করেন, সরকারের এই সিদ্ধান্তে, তাঁরা সরকারের প্রতি বিরূপ মনোভাবাপন্ন হবেন।
তৃতীয়ত, সিগারেট এর উত্পাদন বন্ধ করে দিলে, উত্পাদনে কর্মরত বিপুল সংখ্যক কর্মী ও তাঁদের পরিবার, পরিজন সমস্যায় পড়ে যাবেন।
চতুর্থত, সিগারেট সেবন কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করলে, সিগারেট নিয়ে, চোরা কারবারের জন্ম হতে পারে। তাই, সরকার নেশার বিরুদ্ধে, "বিধিসম্মত সতর্কীকরণের ঘোষণা" দিয়েই দায়িত্ব পালন করেন। বার্তা দেন, সিগারেট সেবনকে, তাঁরা সমর্থন করেন না।
এখন বিষয় হল কোন সিগারেট কতটা ক্ষতিকর বুঝবেন কী করে। এর উত্তর হল সমস্ত সিগারেটই ক্ষতিকর। তবে নিকোটিন ফিল্টার কতবার করা হয়েছে ও ভারি ধাতু বা হেভিমেটাল, যা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতি সেটার পরিমান কত, তার নিরিখে একটি তালিকা দেওয়া হল।
গোল্ড ফ্লেক লাইট - ১৭ শতাংশ
উইলস নেভি কাট- ২২ শতাংশ
চারমিনার - ২৪ শতাংশ
এছাড়ও বাজারে চালু ফোর স্কোয়ার, পল মল, ইনসিগনিয়ার মতো কোম্পানিগুলিও ভারি ধাতু উপাদান ব্যবহার করে। ফলে তৃতীয় বিশ্বের দেশে নিম্নমানে সিগারেট আশা করাটাই স্বাভাবিক। তাই অবিলম্বে ধূমপান ত্যাগ করুন।
Post a Comment