পশ্চিমবঙ্গে আমফান আসার আগেই নাকি পূর্বাভাস জানিয়ে দিয়েছিল এই মন্দির

Presentation1-19-768x346


Odd বাংলা ডেস্ক: শতাব্দীর প্রাচীন মন্দির এটি। দেখতে অনেকটা বৌদ্ধ মঠের মতো। হিন্দুদের উপাসনালয় হলেও এটি তাদের কাছে ‘আবহাওয়া অধিদপ্তর’ হিসেবে বেশি পরিচিত। কারণ কখন, কোথায়, কতোটা বৃষ্টি হবে তার আগাম বার্তা নাকি দিতে পারে এই মন্দির। এমনকি যুগ যুগ ধরে তাদের এই বার্তার কোনো অমিলও হয়নি। উত্তর প্রদেশের কানপুর থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত একটি প্রাচীণ মন্দির। এখন বৃষ্টির আগাম বার্তার কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত পেয়েছে। 

সম্রাট অশোকের শাসনকালে এই মন্দিরটি তৈরি করা হয়েছিল। এই মন্দির নিয়ে চলেছে প্রচুর গবেষণা হয়েছে। তার কারণ হয় এক অবাক করা রহস্য, যার কারণ আজও অজানা। রথযাত্রা আর উল্টো রথের সময় নানান সাজ-সজ্জায় সরব হয় মন্দিরটি। হিন্দু ধর্মের নানা উৎসবকে কেন্দ্র করে মন্দির প্রাঙ্গণে বড়সড় মেলাও বসে। পূজা আর মেলা উপলক্ষে হাজার হাজার ভক্তদের সমাগম হয় সেখানে।
এই মন্দিরটি তিন ভাগে তৈরি করা হয়েছে। গর্ভগৃহের একটি ছোট্ট অংশ এবং তারপরে আরও দুটো বড় অংশ রয়েছে। এই তিনটি অংশ বিভিন্ন আমলে তৈরি হয়েছে। এই মন্দিরে ভগবান বিষ্ণুরও একটি মূর্তি স্থাপন করা রয়েছে। এখানে বিষ্ণুর মোট ২৪ টি অবতারের মূর্তি স্থাপন করা আছে। 

তবে রথের সময়টুকু বাদ দিয়ে এই মন্দিরকে সারা বছর লোকে ‘আবহাওয়া দপ্তর’ হিসেবে সবচেয়ে বেশি চেনেন। কৃষকরা এটিকে ‘জাগ্রত’ সত্য বলেও মনে করেন। কৃষকদের বিশ্বাস- কখন, কতোটা বৃষ্টি হবে, ভারী, মাঝারি না ছিটেফোঁটা বৃষ্টি হবে, সব কিছুরই নাকি আগাম ইঙ্গিত দিতে পারে এই মন্দির।
স্থানীয়দের বক্তব্য, বাইরে খটখটে রোদের মধ্যেও এই মন্দিরের ছাদ চুঁইয়ে বিন্দু বিন্দু জল পড়তে থাকে। অদ্ভুত মনে হলেও এমনটা হলে স্থানীয় কৃষকরা বুঝে যান, কয়েকদিনের মধ্যেই বৃষ্টি শুরু হতে পারে। স্থানীয়দের বিশ্বাস, বৃষ্টি শুরু হওয়ার ৬-৭ দিন আগেই তার পূর্বাভাস দেয় এই মন্দির। তবে এটি কোনও অলৌকিক বিষয় কি না তা জানা নেই। এখনও অবধি এই বিষয় নিয়ে বহু রিসার্চ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
স্থানীয় কৃষকদের বক্তব্য, মন্দিরের ছাদ চুঁইয়ে পড়া জলের ফোঁটার পরিমাণ দেখে ভারী, মাঝারি না ছিটেফোঁটা বৃষ্টি হবে তা আন্দাজ করা যায়। মজার বিষয় হলো, বৃষ্টি শুরু হলে তখন মন্দিরের ছাদ চুঁইয়ে জল পড়া একেবারেই বন্ধ হয়ে যায়। মন্দিরের ছাদে তখন জলের চিহ্ন পর্যন্ত পাওয়া যায় না। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, যুগ যুগ ধরে এ নিয়মের কোনো ব্যতিক্রম হয়নি। স্থানীয় কয়েকজনের দাবি পশ্চিমবঙ্গে আমফান আসার আগেও নাকি এই একই ঘটনা ঘটেছিল এই মন্দিরে।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.