NASA নয়, ১৫০০ বছর আগেই ভারতীয় ব্রাহ্মণ বিজ্ঞানী বরাহমিহির বলেছিলেন 'মঙ্গলে জল আছে'



Odd বাংলা ডেস্ক: দেড় হাজার বছর আগেই মঙ্গলগ্রহে জলের অস্তিত্ব রয়েছে বলে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন ভারতীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানী, গণিতবিদ ও জ্যোতিষী বরাহমিহির। ৪৯৯ সালে ভারতের মধ্যপ্রদেশের উজাইনে জন্মগ্রহণ করেন এ বিজ্ঞানী। তার পিতা আদিতদাস বিশিষ্ট সূর্য পূজারি ছিলেন। ভারতের রাজা বিক্রামাদিত্ত্বের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের তালিকায় অন্যতম ছিলেন বরাহমিহির। তার লেখা প্রথম বইয়ের নাম ‘সুরয়া সিদ্ধান্ত’। 

ষষ্ঠ শতকের দিকে তিনি বিশ্বের সেরা একজন বিজ্ঞানী ছিলেন বলে সোমবার খবর প্রকাশ করেছে টাইমস অব ইন্ডিয়া। প্রযুক্তির এ যুগে মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ন্যাশনাল অ্যারোনাওটিক্স অ্যান্ড স্পেস এডমিনিস্ট্রেশনের (নাসা) বিজ্ঞানীরা এখন মঙ্গলের রহস্য উদ্ঘাটন নিয়ে মরিয়া হয়ে পড়েছে। অথচ দেড় হাজার বছর আগেই মঙ্গলগ্রহের জলেরর অস্তিত্ব আছে এমন ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন বরাহমিহির। এতে একটু বিস্মিত হয়েছেন বর্তমানের বিজ্ঞানীরা। কারণ, মাত্র কয়েকদিন আগে ২০১৪ সালের ২৫ মে মঙ্গলে জল ও লোহার অস্তিত্ব রয়েছে বলে ধারণা প্রকাশ করেছে নাসার বিজ্ঞানীরা। ৫৫৭ সালে বিশ্বের প্রথম ব্যক্তি হিসেবে মঙ্গলে দল, পাথর, বালি, লোহা রয়েছে বলে গণনা করেছিলেন বরাহমিহির। মঙ্গল গ্রহ সংক্রান্ত এ ভবিষ্যদ্বাণীতে তিনি গাণিতিক ত্রিকোনমিতির সূত্র ব্যবহার করেন। তার এ সূত্রের নাম ‘পাঞ্চসিদ্ধান্তিকা’ (পাঁচটি জ্যোতির্বিদ্যা সংক্রান্ত রীতি)। যাতে বিভিন্ন গণিতশাস্ত্রীয় ও জ্যোতিষ বিদ্যার সমন্বয় ছিল। 

এ হিসেবে তাকে ত্রিকোনমিতি সূত্রের আবিষ্কারকও বলা হয়ে থাকে। তার লেখা ‘সূর্য সিদ্ধান্ত’ বইয়ে মঙ্গলগ্রহের রহস্য উন্মোচণের বিস্তারিত তুলে ধরেন বরাহমিহির। মহাবিশ্বে সব গ্রহের সীমানা-পরিসীমা, চন্দ্রগ্রহণ, সূর্যগ্রহণ, দিন রাত্রির কারণ এবং সূর্যের চারদিকে সব গ্রহ ঘুরছে তার রহস্যও বর্ণনা করেন তিনি। এছাড়া, তিনি কোনো প্রকার বৈজ্ঞানিক যন্ত্রের ব্যবহার ছাড়াই বিষুব রেখার উদ্ঘাটন করেন, যা আধুনিক ভূ-উপগ্রহ গবেষকদের কাছে অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি আবিষ্কার।
Blogger দ্বারা পরিচালিত.